লামায় পাথর তুলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আঙ্গুল হারালো শ্রমিক

NewsDetails_01

লামায় পাথর তুলতে গিয়ে আহত শ্রমিক জাকের
পার্বত্য অঞ্চলে একের পর এক পরিবেশ বিপর্যয়ের পরও অবাধে পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন করে অবৈধভাবে প্রকাশ্যে চলছে পাথর আহরণ ও পাচার। আবার এ পাথর আহরণ করতে গিয়ে আহত ও নিহত হচ্ছে এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। গত সোমবার পাথর খন্ডিত করতে গিয়ে বিস্ফোরণে এক হাতের আঙ্গুল হারিয়েছেন মো. জাকের (৪৫) নামের এক শ্রমিক। বুধবার বিকালে ঘটনাটি জানা জানি হয়। আহত জাকের লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকার বাসিন্দা সালেহ আহমদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার দুপুরে বান্দরবানের লামা পৌরসভা এলাকার হরিণঝিরি পশ্চিম পাশের কাঠাঁলছড়া এলাকায় গান পাউডার দিয়ে কোয়ারিতে বড় আকারের পাথর বিস্ফোরণ করতে যান মো. জাকের। পরে বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় জাকের এর বাম হাতের কয়েকটি আঙ্গুল উড়ে যায়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আহত শ্রমিককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যন্ত নেয়া হয়নি। গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। তবে এই বিষয়ে ভয়ে মুখ খুলেননি আহত জাকের।
পাথর বিস্ফোরণে বিগত দিনে আহত অনেকে জানায়, আহত হওয়ার পরে প্রথমে লোক দেখানো কিছু সহযোগিতা করলেও পরে আমাদের খোঁজ খবর নেয়না পাথর ব্যবসায়ীরা। বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় তাদেরকে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, কাঠাঁলছড়া পাথর কোয়ারিটির মালিক লামা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাবিল মিয়া। এ বিষয়ে কাউন্সিলর ও পাথর ব্যবসায়ী হাবিল মিয়া বলেন, আমি নগদ টাকা দিয়ে পাথর ক্রয় করি। তারা কিভাবে পাথর সংগ্রহ করে সেটা আমার বিষয় নয়। পাথর কোয়ারিটি তার বলে দাবি করেন। বিস্ফোরক দ্রব্যের বিষয়ে কোন অনুমতি আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে; তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এই বিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লাইসেন্স বিহীন কোন ব্যক্তি বিস্ফোরক দ্রব্য বহন বা সংরক্ষণ করলে ওই ব্যক্তি বিস্ফোরক আইনে অপরাধী হবেন।

আরও পড়ুন