লামায় প্রশাসনের ত্রাণ ফেরত দিল পাড়াবাসী

purabi burmese market

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়ন থেকে প্রায় ১০কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রেং ইয়ান পাড়ার খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট এমন সংবাদে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাড়াবাসীকে ত্রাণ সহায়তা দিতে ছুটে গেলে প্রথমে তারা তা গ্রহন করে নিজ নিজ বাসায় নিয়ে গেলেও পরে তারা লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে এই ত্রাণ দেয়া হয়েছে সন্দেহ করে তা ফেরত দিয়ে দেয়।

৮ মে ( রবিবার) সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন,বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পাড়ায় ত্রাণ নিয়ে গেলে পাড়ার বাসিন্দারা প্রথমে ত্রাণ গ্রহণ করে , পরে সেখানে রাবার কোম্পানির কর্মীদের উপস্থিতির অভিযোগে সেই ত্রাণ আমাদের ফিরিয়ে দেই। আমরা ৩৬ পরিবারের জন্য চাল, মসুরের ডাল, মুড়ি, চিড়া, লবণ এবং পানি নিয়ে গিয়েছিলাম তবে প্রথমে তা স্বাদরে গ্রহণ করলেও পরে তা আমাদের ফেরত দেয় আর আমরা তা নিয়ে চলে আসি।

এদিকে ত্রাণ বিতরণের সময় ঘটনাস্থলে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এক কর্মীকে পাড়াবাসী দেখতে পেয়ে তাকে ধাওয়া করে, পরে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের দুই সদস্য,সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাড়াবাসীদের বুঝিয়ে শান্ত করে।

রেং ইয়ান পাড়ার কারবারি রেংয়ান ম্রো বলেন, পাড়াবাসীর ত্রাণের খুব দরকার, কিন্তু আমরা ত্রাণ নিতে গিয়ে দেখি যারা আমাদের জুমের বাগান পুড়িয়ে দিয়েছেন সেই লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মীরা প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, আর আমরা তাদের টাকায় কোন ত্রাণ নেব না। তিনি আরো বলেন, কয়েকটি ত্রিপুরা পরিবার প্রথমে ত্রাণ নিলেও সেই ত্রাণ পরে তারা ফেরত দেয়।

dhaka tribune ad2

সরই ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মো.ইদ্রিছ জানান, আমরা ত্রাণ দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ পাড়ায় ছুটে গিয়েছিলাম। প্রথমে তারা লাইন ধরে সবাই ত্রাণ নিয়ে বাড়ী গিয়েছিল পরে হঠাৎ করে সবাই ত্রাণ নেবে না বলেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শেষে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রায় ২ঘন্টা অপেক্ষা করেও তাদের ত্রাণ হাতে তুলে দিতে না পেরে লামা ফেরত যান।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।