লামায় বাঁশের সাঁকোতে ৫ হাজার মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল : জনদূর্ভোগ চরমে

purabi burmese market

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকোঁর উপর নির্ভর করছে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বগাইছড়ি, ছাগল্যাঝিরি ও রংখোলার গ্রামের প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের ৫ হাজার মানুষের চলাচল। এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই তিন গ্রামের স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান,এলাকার জন প্রতিনিধিরা প্রতি ৫ বছর পর-পর পরিবর্তন হলেও কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি গ্রাম তিনটিতে। বগাইছড়ি খালের ওই স্থানে ছোট করে হলেও একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির কাঝে জোর দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

আরো জানা গেছে, রংখোলার ঝিরি গ্রামস্থ বগাইছড়ি পুরাতন জামে মসজিদে যাওয়ার পথে বগাইছড়ি খালের উপর নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মসজিদের মুসল্লিসহ এলাকার নারী পুরুষ। ব্রিজের অভাবে কেউ মারা গেলে লাশ কবরস্থানে নিতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের।

স্থানীয় ছায়েদ আলী জানায়, তাদের এই ৩ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার লোকজন যুগ-যুগ ধরে সাঁকো দিয়ে চলাচল করে জীবন যাপন করে আসছেন।

রংখোলা গ্রামের বাসিন্দা সফর আলী ও নুরুল ইসলাম বলেন,চলাচলের জন্য প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও বর্ষাকালে পাহাড়ী ঢলের পানির স্রোতের টানে সাঁকো ভেঙ্গে যায়। তখন অনেক সময় তিন গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

dhaka tribune ad2

আরো জানা গেছে, বর্ষায় বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা। তাছাড়া বগাইছড়ি পুরাতন জামে মসজিদের পাশের কবরস্থানই ওই তিন গ্রামের একমাত্র কবরস্থান। স্থানীয়রা মারা গেলে এ খালের ওপর এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি পার হয়েই লাশ কবরস্থানে নিতে হয়।

স্থানীয় রিপুজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো দিয়ে পার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে ঢলের পানির স্রোতের টানে সাঁকো ভেঙ্গে গেলে বিদ্যালয়ে যেতে পারিনা।

একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা ও জেনি আক্তার জানান, আমরা সাঁকো দিয়ে পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করি, আবার সাঁকো থেকে পানিতে পড়েও যাই।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসাইন মামুন বলেন, বগাইছড়ি খালের ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণ হলে তিন শতাধিক পরিবারের দুর্ভোগ লাগব হবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লামা কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. জাকের হোসেন মোল্লা জানান, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা লিখিত আবেদন করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।