বান্দরবানের লামা থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য সরওয়ার আলমের পর তার সাড়ে চার বছর বয়সী শিশু আল আমিন মোহাম্মদ জিসানও প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ রোবীন। তিনি জানান, কাশি, জ্বর ও গলা ব্যাথা অনুভূত হলে জিসান গত দুদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে নমুনা দেওয়ার পর পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরে তার নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনা পজেটিভ আসে। এর আগের সপ্তাহে শিশু জিসানের বাবা সরওয়ার আলমের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। তিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইশোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে এ পর্যন্ত উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সর্বমোট ১৯৬ জনের নমুনার সংগ্রহের পর ৩ জুন পর্যন্ত ১৭৩ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ ও বাকীগুলোর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। প্রথম থেকে এ পর্যন্ত ৬জন করোনা রোগী চিকিৎসায় সম্পুর্ণ সুস্থ হয়। বর্তমানে এক শিশুসহ ৬জন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদুল হক।
স্থানীয়দের মতে, উপজেলার হাট বাজার ও গণপরিবহনে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণেই দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এ বিষযে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ- জান্নাত রুমি বলেন, নতুন আক্রান্ত শিশু জিসানসহ অন্য আক্রান্তদেরকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইশোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনা সংক্রমন এড়াতে প্রতিনিয়ত সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।