লামায় মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম দূর্নীতির আখড়া

NewsDetails_01

মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের (মউশিক) বান্দরবানের লামা উপজেলা মডেল কেয়ার টেকার ও ফিল্ড সুপার ভাইজারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্ণীতি, জিম্মি করে টাকা আদায়, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ অর্থ আত্মসাথের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে কর্মরত কেয়ারটেকার মো. শোয়াইব ও সুপার ভাইজার মহি উদ্দিনের বিরুদ্ধে মউশিকের ভুক্তভোগী ২৪জন শিক্ষক এ অভিযোগ করেন। এর আগে অভিযোগের বিষয়ে প্রথমে মউশিকের জেলা কর্মকর্তাদের অবহিত করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ উধর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা অভিযোগে উল্লেখ করেন, লামা উপজেলায় মউশিকের ১১৭ টি কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৫ সালে মডেল কেয়ার টেকার মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হককে কৌশলে হটিয়ে দায়িত্ব নেন মো. শোয়াইব। এরপর থেকে শুরু হয় কেয়ার টেকার মো. শোয়াইব ও সুপার ভাইজার মহি উদ্দিনের অনিয়ম দূর্নীতি। এরই ধারাবাহিকতায় তারা মউশিকের নতুন কেন্দ্র সৃষ্টির জন্য প্রতিজন থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা আগাম ঘুষ নেন। এছাড়া ২০২১ সালেও নতুন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য টাকা নেওয়ার পাশাপাশি পুরাতন কেন্দ্র নবায়ন ফি বাবদ ২ থেকে ৩ হাজার টাকা, প্রাক-প্রাথমিক থেকে সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র রুপান্তরিত করার অজুহাতে শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্যক্তি বিশেষ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা, সার্টিফিকেট দূর্বলতার অজুহাতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক থেকে ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে বেতনের টাকা জমা হলে প্রতিবার ব্যক্তি অনুপাতে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা, কোন শিক্ষকের কোন কারণে কারণ দর্শানোর নোটিশের অজুহাতে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা, দারুল আরকাম মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগকারীন সময় কোন কোন শিক্ষক হতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আদায় করেন কেয়ার টেকার ও সুপার ভাইজার। শুধু তাই নয়, মডেল কেয়ার টেকার মো. শোয়াইবের অনৈতিক আচরনের কারণে কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা চাকুরী ছাড়তে বাধ্য হন। যদি কোন শিক্ষক তাদের বিরোধীতা করেন কিংবা দাবীকৃত টাকা দিতে গড়িমশি করেন, তাহলে ওই শিক্ষককে মোটর সাইকেল চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকিসহ মারধরও করেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

NewsDetails_03

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে লামা উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মাহিউদ্দীন ও কেযার টেকার মো. শোয়াইব এক সূরে বলেন, শিক্ষকদের অনিয়ম ধরা পড়ার কারণে আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তির চেষ্টা করছেন মাত্র।

ইসলমিক ফাউন্ডেশন বান্দরবান জেলার উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ শিক্ষকদের অভিযোগ প্রসেঙ্গ সাংবাদিকদের বলেন, টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে মডেল কেয়ারটেকার মো. শোয়াইবকে আলীকদমে বদলী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মসজিদ ভিত্তিকশিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প উপ-পরিচালক আবু বকর ছিদ্দিক জানান, শিক্ষকদের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায়ের নিয়ম নেই। যদি কেউ এ কাজ করে থাকেন সেটা অনিয়ম ও দূর্নীতি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন