লামায় মা মেয়েকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয় !

বান্দরবানের লামা পৌর এলাকার চাম্পাতলী গ্রামের এক কুয়েত প্রবাসীর বসতঘরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা, নগদ অর্থ ও স্বর্ণ লুট করার ঘটনায় তাদের স্বজনদের কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশসহ স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, হত্যার আগে মা ও মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় বলে আলামত পাওয়া গেছে।

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মা ও দুই মেয়ের শরীরে কপালে, পিঠে ও বুকে জখম রয়েছে। মা মাজেদা বেগমকে শয়ন কক্ষের খাটে ও মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন রাফিকে রান্না ঘরের কক্ষে পাওয়া গেছে, তাদের দুজনের শরীরেই ধর্ষণের আলামত আছে। শিশু নুর-এ জান্নাতের লাশ আরেক কক্ষে পাওয়া গেছে।

NewsDetails_03

লামা পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে নিহত মাজেদা বেগমের মা লালমতি খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে লামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর এই ঘটনায় ৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এদের মধ্যে গত শুক্রবার (২১মে) রাতে ৫ জন ও শনিবার সকালে ১ জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন, নিহত মাজেদা বেগমের স্বামী নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই আবদুল খালেক ও শাহ আলম, নিহত মাজেদা বেগমের বড় বোন রাহেলা বেগম ও তার স্বামী আবদুর রশিদ, হাফেজ সাঈদুর রহমান ও দোকানদার রবিউল ইসলাম।

গত শনিবার দুপুরে ফোনে বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার পাহাড়বার্তা’কে বলেন, আমরা ঘটনার তদন্ত করছি, পারিবারিক জেরে বা পারিবারিক কলহের কারনে এই হত্যাকান্ডটি হয়ে থাকতে পারে, আলমারি ভেঙ্গে স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই এই হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে নিহতের স্বজনদের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হলেও আজ রোববার রাত ১০টার পর লামায় লাশ দাফনের কথা রয়েছে। পুলিশ ও পিবিআই’র পাশাপাশি র‌্যাব এই আলোচিত নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন