বান্দরবানের লামা উপজেলার চম্পাতলী এলাকায় এক কুয়েত প্রবাসীর ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ এর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৫০), সন্তান রাফি আক্তার (১৬, ও দশ মাস বয়সী সন্তান নুরি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ ২১ মে প্রতিবেশীরা সারাদিনেও এই পরিবারের কোন সড়াশব্দ না পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাদের খোঁজ করার জন্য বাসার জানালা দিয়ে দেখলে তারা বাসার দুই রুমের বিছানায় আলাদা ভাবে তিনজনকে শুয়া অবস্থায় দেখতে পায়। পরে রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ একে একে এই তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। বাসার প্রধান দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকার কারনে স্থানীয়রা মনে করেছে, তাদের বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হতে পারে।
এই ব্যাপারে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ এর ভাই আব্দুল খালেক ও শাহ আলম বলেন, কয়েকদিন আগে নিহত মাজেদা বেগম এর বোন বেড়াতে আসছিল, তারা বৃহস্পতিবার বিকালে চলে যাওয়ার পর আজ এই লাশ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখে হত্যার আলামত সংগ্রহ করছে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এই ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে ঘটনার পর লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা রশিদ, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এই ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রিজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তিনটি বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করা হবে।