বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সায়েদ ইকবাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মো. কামরুজ্জামান অতিথি ছিলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্কাউটস ও রোভার, আনসার ও ভিডিপি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে, তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনা অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে।
তারা আরো বলেন, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হারানোর ক্ষতি আমরা আজও অনুভব করি, সে অভাব পূরন হবার নয়। আমাদের যে এতটা বছর লেগে যাচ্ছে উন্নতির সিঁড়িতে পা রাখতে, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড তার একটি অনুকরণ ও অনুসরণ। আজ এই স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও দেখতে হয়, সেই সব বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে তারা অনেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজে ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে।