লামায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নির্বাচিত হলেন যারা

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবেই তাদেরকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচন করা হয়।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’১৯ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় টাউন হলে আয়োজিত সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচী শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি, সরকারি মাতামুহুরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁঞা, মৎস্য কর্মকর্তা জয় বনিক, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জুয়েল মজুমদার, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ মুলে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সপ্তাহ ব্যাপী এ কর্মসূচী উপলক্ষে যাচাই বাছাইয়ে কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক মুহাম্মদ সামশুল আলম, বিদ্যালয় পর্যায়ে আবুল কালাম, মাদ্রাসা পর্যায়ে সাহাব উদ্দিন রিটু নির্বাচিত হন। বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে মুহাম্মদ ইব্রাহীম। কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কোয়ান্টাম কসমো কলেজ, বিদ্যালয় পর্যায়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে লাইনঝিরি মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট স্কাউট শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড শিক্ষক মো. আলম ও শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড গ্রুপ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ স্কাউট শিক্ষার্থী মো. সাজিদুল ইসলাম, কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ রোভার মো. শহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হন। কেরাতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ লাইনঝিরি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র মো. শাহিন আলম ও কেরামত আলী, কোয়ান্টাম কসমো কলেজের ছাত্র তানভির হোসেন।
হামদ ও নাতে লাইনঝিরি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী তানজিনা আক্তার, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী বিবি কুলসুম ও সরকারি মাতামুহুরী কলেজের ছাত্রী জন্নাতুল মুকারমা তানিয়া। বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায় হলি চাইল্ড পাবলিক স্কুলের ছাত্রী সাদিয়া আলম, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রমি দাশ ও সরকারী মাতামুহুরী কলেজের ছাত্র আলী আশ্রাফ। বাংলা কবিতা আবৃত্তিতে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঋতুপর্ণা দেবী মীরা, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া, সরকারি মাতামুহুরী কলেজের ছাত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শাহারিয়া সুলতানা রীমা, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী উম্মে হাবিবা মুক্তা, সরকারি মাতামুহুরী কলেজের ছাত্রী হ্লাখিং লাকী।
দেশাত্মক বোধক গানে আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জয়শ্রী দাশ, গোধুলী চৌধুরী ও সরকারি কলেজের ছাত্রী বীর বাহাদুর ত্রিপুরা। রবীন্দ্র সংগীতে শান্তি দে,কৌশিক দাশ। নজরুল সংগীতে ইসরাত মোকারমা ঝুমু ও আঁকি প্রভা বড়ুয়া। উচ্চাঙ্গ সংগীতে ঋতুপর্না দেবী মীরা ও অর্পা দাশ। লোক সংগীতে ঋতুপর্না দেবী মীরা, আতকিয়া মাইমুনা ও বীর বাহাদুর ত্রিপুরা। জারী গানে সৌমেন দাশ ও তার দল। তাৎক্ষনিক অভিনয়ে ইবতিসাম আলম পিয়াল, অনন্যা দাশ ও তানভির হোসেন। নৃত্যে (উচ্চঙ্গ) কেথি মার্মা ও লিলি মার্মা। লোক নৃত্যে কেথি মার্মা, লংবৈতি ত্রিপুরা ও হ্যাপি ত্রিপুরা। কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী জেমি বড়ুয়া, বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী উম্মে নুর সামিহা ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ইসরাতের নুর তাহমিদা শ্রেষ্ঠ শিক্ষাথী নির্বাচিত হয়।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁঞা বলেন, উপজেলা পর্যায়ে কেরাত, হামদ নাত, সাংস্কৃতিক, স্কাউট/গার্ল গাইড, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেণী শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এবার বান্দরবান জেলা পর্যায়ে প্রতিদ্বদ্বিতা করবেন নির্বাচিতরা।

আরও পড়ুন