ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় বাংলাদেশ সরকার, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় পুষ্টি ও পুষ্টি চাল বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালযের আয়োজনে আজ সোমবার স্থানীয় টাউন হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্শশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রায়না আহমেদ। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র উপ-সচিব আবুল খায়ের, সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, বান্দরবান জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বিশেষ অতিথি ছিলেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুস্মীতা খীসার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্শশালায় লামা ও থানছি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকগন অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পুষ্টি চালে কোন কোন ভিটামিন আছে, পুষ্টির অভাবে কোন ধরণের সমস্যা হয়, রক্ষণ প্রণালী, পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল সংরক্ষণের পদ্ধতি, পুষ্টি চাল উৎপাদন, বিতরণ, অনুপুষ্টির অভাব দূরীকরণ কৌশল সমূহের ওপর বিস্তারিত ধারণা দেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার ড. মাহাবুবুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে পুষ্টি চালের উৎপাদন ও ব্যবহার চালু করেছে। বর্তমানে দেশের ১৫টি জেলার ৩৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এ উদ্যোগ উপকার ভোগীদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সুফলদায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তাই অধিকতর সুফল অর্জনের লক্ষ্যে এ কার্যক্রম আরো বৃহত্তর এলাকায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন, যাদের খাবারে ঘাটতি আছে তারা পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল রান্না করে খেলে রোগ প্রতিরোধ, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও রক্ত স্বল্পতা দূরীকরণে সহায়তা করে।