শনিবার সরেজমিন নুনারবিল সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ নির্বাচনে তৃতীয় শ্রেণীতে ৮৯জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ১০৫ জন ও পঞ্চম শ্রেনীতে ৮৯ জনসহ মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮৩জন। তম্মধ্যে ২৮০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ৭টি প্রতিনিধি পদের জন্য ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করে। এতে ৭জন প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা হলো, তৃতীয় শ্রেণীর মাহাদী হোসেন আলিফ (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১১১টি), প্রত্যয় বড়ুয়া (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১২৭) ও শারাবান তাহুরা তুহি (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৪৭টি)। চতুর্থ শ্রেণীর মো. তানবীর ইসলাম (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১১৫টি), তাসনুভা বিনতে এনায়েত রাইসা (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৪৫টি)। পঞ্চম শ্রেণীর জোবায়ের হোসেন শয়ন (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৪৭টি) ও দীপা দাশ (প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ১৭১টি)।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র হাবিবুল গাফ্ফার মাঈন। এছাড়া ৩জন প্রিজাইডিং, ৬জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী পোলিং ও ৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যতীন্দ্র মোহন মন্ডল, সাংবাদিক মো. নুরুল করিম আরমান, বাবু মং মার্মা প্রমুখ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদ ছরোয়ারসহ অন্য শিক্ষকবৃন্দ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করেন। নির্বাচন সমন্বয়ক ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আমেনা বেগম। একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম।
এ দিকে লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতিতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দিন উপজেলার চাম্বি সরকারী প্রাথমিক, লামামুখ সরকারী প্রাথমিক, রুপসীপাড়া সরকারী প্রাথমিক, আদর্শ সরকারী প্রাথমিক, হায়দারনাশী সরকারী প্রাথমিক, ডলুছড়ি সরকারী প্রাথমিক, ফাইতং হেডম্যান পাড়া সরকারী, মেরাখোলা সরকারী প্রাথমিক ও চাম্পাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৮৫টি বিদ্যালয়ে সারা দেশের ন্যায় এক যোগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।