লামায় ১৭ হাজার ৯৮৬ শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

purabi burmese market

লামায় শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে ক্যাম্পেই কার্যক্রমের উদ্বোধন করছেন ডা. উইলিয়াম লুসাই
বান্দরবানের লামা উপজেলায়ও শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। শনিবার সকাল ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই।
এ সময় উপজেলা ডা. মাজেদুর রহহমান, ডা. মাকসুদা বেগম, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) রুপন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত কেন্দ্রের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান শিশুদের জন্য বাস স্টেশন ও নৌঘাটেও এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। এবারে উপজেলার ১৭ হাজার ৯৮৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খাওয়ানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।
মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) রুপন চৌধুরী জানান, একটি পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নির্ধারিত ১৫৪টি স্থানে একযোগে ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গমে ১টি ও সরই ইউনিয়নের দুর্গমে ১টি কেন্দ্র স্থাপন করা করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২জন করে সর্বমোট ৩০৮জন স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্চাসেবী কাজ করেছেন। ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ২ হাজার ২১২ জন শিশুকে একটি করে নীল রংয়ের ক্যাপসুল ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১৫ হাজার ৭৭৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়া থেকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার একটি শিশুও যাতে বাদ না পড়ে, সে ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছি। আশা করি কোন শিশু এ ক্যাম্পেইন থেকে বাদ পড়বেনা।

আরও পড়ুন
আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।