লামায় তিন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

গাছ পাচার ও জমি আত্মসাতের অভিযোগ

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়িতে কৃষি বিভাগের জমি থেকে গাছ কেটে পাচার ও জমি আত্মসাতের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার তিন মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, লামার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাদী হয়ে স্থানীয় তিন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার ছেলেসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেুট আদালতে ফৌজদারী অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত জুডিসিয়াল তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

NewsDetails_03

পরোয়ানা ভুক্তরা হলেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. বাজেত মিয়া (৬০), আব্দুল কাদের (৬০) ও আব্দুল মফিজ (৬১), নুরুল হক (৬০), মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মো. লোকমান (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৩২), মো. ইসমাইল (৩৫), মো. সুলতান (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩০), ইরাত মিয়া (৩২), বেলাল উদ্দিন (৩৮), মহিম উদ্দিন (৪০), আবদুছ ছাত্তার (৫০), আবু আহমদ (৩৫), মো. ইউনুছ (৫৫), মো. ইউছুপ (৪০), নুরুল ইসলাম (৪০) ও মংথুই প্রু মার্মা। এরা সবাই ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকায় কৃষি বিভাগের জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আত্মসাৎ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বাজেত মিয়ার নেতৃত্বে এই ১৯ অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছেন এবং কৃষি বিভাগের জমিতে রোপিত ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে পাচার করেন। পরে কৃষি বিভাগের মহা পরিচালকের অনুমোদনক্রমে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.আব্বাছ উদ্দিন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন মু্িক্তযোদ্ধাসহ ১৯ জনকে বিবাদী করে একটি ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার আইনজীবি মো. মামুন মিয়া বলেন, অভিযুক্তরা জোর পূর্বক কৃষি বিভাগের কাছ কেটে পাচার ও জমি আত্মসাতে লিপ্ত রয়েছেন। তাই বাদীর অভিযোগ বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল তদন্তের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও পড়ুন