লামায় ২০ শতক জমির ৫৫৩টি গাঁজা গাছ ধ্বংস : আটক ১

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামায় গাঁজা গাছসহ আটক খুরশিদা বেগম
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ২০শতক জমিতে চাষ করা ৫৫৩টি গাঁজা গাছ ধ্বংস করেছে পুলিশ। যার ওজন ৮৫ কেজি, বাজার মূল্য আনুমানিক ১৭ লক্ষ টাকা। এসময় গ্রাম গাঁজা গাছের বীজসহ খুরশিদা বেগম (৩৫) নামে একজনকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, শনিবার সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি রওজাঝিরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ আমিনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রওজার ঝিরিতে অভিযান চালায়। এ সময় গত কয়েক মাস আগে ইয়াহিয়া মিন্টু কর্তৃক জমিতে রোপিত ৩০৩টি পূর্ণ বয়স্ক ও ২৫০টি গাঁজার চারা গাছ ধ্বংস করে দেয় পুলিশ। তবে গাঁজা চাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, গত বছর লামা পৌরসভা এলাকার হরিণ ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা জাকের হোসেন কুতুবীর ছেলে ইয়াহিয়া মিন্টু ছাগল খাইয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে রওজাঝিরিস্থ ৬০শতক জমি ১৫ হাজার টাকায় লিজ নেয়। চল্লিশ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করলেও এর পাশাপাশি আনুমানিক ২০শতক জমিতে গাঁজার চাষ করে ইয়াহিয়া মিন্টু। আশপাশের লোকজন প্রথমে বুঝতে না পারলেও এক পর্যায়ে শনিবার সকালে গাঁজা চাষের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দেয়, এরপর অভিযানে নামে পুলিশ।
এ বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, ইউনিয়নের রওজারঝিরিতে গাঁজা চাষের বিষয়টি কেউ কোনদিন আমাদের জানায়নি।
তারা আরও জানায়, ইয়াহিয়া মিন্টু দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গাঁজা বিক্রি করে আসছে। এ কাজে তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও বোনের স্বামী মো. ইকবাল এবং ইকবালের স্ত্রী জামিলা আক্তারও জড়িত রয়েছেন। কিছুদিন আগে ইকবাল মাষ্টার পাড়া এলাকায়ও তামাক ক্ষেতের আড়ালে গাঁজার চাষ করেছিল। পরে জানাজানি হলে ইকবাল গাঁজা গাছগুলো তুলে ফেলেন।
এই ব্যাপারে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার আভিযোগে খুরশিদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল গাঁজা চাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন