পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম পৌরসভায় ১ হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ও ১ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবী করেন। সেই সাথে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও গাছ ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহসহ একাধিক সড়ক বিধস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধসহ ব্যক্তি মালিকানাধিন ও বাণিজ্যিক ফলদ এবং বনজ বাগান, ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে পৌর এলাকায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান পৌর মেয়র। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৫০০টি কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ, ৩ হাজার ১০০টি আংশিক, ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আংশিক, ২টি পাড়া শিক্ষা কেন্দ্র সম্পূর্ণ, ১০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আংশিক, ১০টি হস্তচালিত নলকূপ সম্পূর্ণ ও গাছ পড়ে একজন নিহতসহ ৫১ গবাদি পশু মারা যায়, বিধস্ত হয় ১০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক। এছাড়া ১০ একর জমির ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি ফলদ ও বনজ বাগানের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় মোরা’র তান্ডবে লামায় ব্যাপক ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, একটি পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।