লামা উপজেলা প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির প্রচেষ্টা, চাহিদা প্রেরণ ও বিভিন্ন সময় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের শিক্ষা সমস্যা সম্পর্কিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আমলে নেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ফলে উপজেলার নতুন জাতীয়করণকৃত ভবন বিহীন ৮টি ও শ্রেণীকক্ষ সংকট থাকা ১টি বিদ্যালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ২৫৯ টাকা ব্যয়ে এসব ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়। অনুমোদিত বিদ্যালয় ভবনগুলো হলো- তিন তলা বিশিষ্ট ইসলামপুর বি.আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন তলা বিশিষ্ট খেদারবাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতল বিশিষ্ট মাতামুহুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতল বিশিষ্ট কলারঝিরি মংপ্রæ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতল বিশিষ্ট রাঙ্গাঝিরি মো. ইউনুচ চৌং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাঁসিয়াখালী শহীদ জিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দ্বিতল শিবাতলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতল বিশিষ্ট ডান ও বাম হাতির ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফাইতং হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন
কলারঝিরি মংপ্রæ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যাচিংমে মার্মা জানান, বাঁশের বেড়া ও টিনের চাউনী দ্বারা বিদ্যালয়টি বহু বছর আগে নির্মাণ করা হয়। নতুন ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীরা নতুন শ্রেণিকক্ষ পাবে। দূর হবে শ্রেণী কক্ষ সংকটও। এছাড়া পাঠদানের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বরেও জানান তিনি।
নয়টি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের অনুমোদনের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন বলেন, উপজেলার সদ্য জাতীয়করণকৃত ৮টি ও পুরাতন ১টি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি ও ঠিকাদার নির্বাচনের জন্য অনুমতি চেয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অচিরেই বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনের কাজ শুরু করতে পারব।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী জানায়, ভবনগুলো নির্মিত হলে বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণী কক্ষ সংকট দূরসহ শিক্ষার মানও বাড়বে।