টাকার অভাবে পাঠ্যবই কিনতে না পারা এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী।
দিপা ত্রিপুরা নামের ওই শিক্ষার্থীর জন্য একাদশ শ্রেণির এক সেট নতুন পাঠ্যবই কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর নির্বাহী অফিসারের পক্ষে শিক্ষার্থী দিপা ত্রিপুরার হাতে এ পাঠ্য বই তুলে দেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা প্রশাসকের সিএ কামরুল হাসান পলাশ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি গজালিয়া ইউনিয়নের আকিরাম ত্রিপুরা পাড়ার বাসিন্দা ডাগেহা ত্রিপুরার মেয়ে দিপা ত্রিপুরা। সে সরকারী মাতামুহুরী কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিকের মানবিক বিভাগের (এইচএসসি) অধ্যয়নরত এ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী দিপা ত্রিপুরার বাবা একজন জুম চাষী। কলেজে ভর্তির পর টাকার অভাবে চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যবই কিনে দিতে পারছিলেন না দিপার বাবা। এতে লেখাপড়ায় ব্যঘাত ঘটে। এ পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের জন্য গত রবিবার ইউএনও বরাবরে একটি আবেদন করেন। পরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এক সেট নতুন পাঠ্য বইয়ের ব্যবস্থা করে দেন, ইউএনও মোহাম্মদ কারুল হোসেন চৌধুরী। এদিকে বই পেয়ে খুশিতে আতœহারা দিপা ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ইউএনও স্যারের এ মানবিকতা সারাজীবন মনে রাখবো।
বই পেয়ে শিক্ষার্থী দিপা ত্রিপুরার বাবা ডাগেহা ত্রিপুরা বলেন, ‘টাকার অভাবে আমরা মেয়ের বই কিনে দিতে পারছিলাম না। ইউএনও স্যার বই কিনে দিয়ে আমার মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এই ঋণ আমি ও আমার পরিবার কোনো দিন শোধ করতে পারবো না। স্যারের জন্য দোয়া করি।
এ বিষয়ে ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, টাকার অভাবে শিক্ষার্থী দিপা ত্রিপুরা বই কিনতে না পেরে আমার বরাবরে একটি আবেদন করেন। বিবেকের তাগিদে ওই শিক্ষার্থীকে একাদশ শ্রেণির এক সেট নতুন বই কিনে দিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান, ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ প্রশাসক ও ২৪ সেপ্টেম্বর পৌর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী।