বান্দরবানের লামা পৌরসভায় নতুন কোন করারোপ ছাড়াই ২০১৯-২০ইং অর্থ বছরে ১৭ কোটি ১৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৫৭ টাকার বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম আনুষ্টানিকভাবে এ বাজেট ঘোষনা করেন। পৌরসভা মিলনায়তনে বাজেট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি। এতে পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র তাজুল ইসলাম, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএম ইমতিয়াজ, লাইনঝিরি মোহাম্মদীয় দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেন বাদশা, কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিজুল হক বিশেষ অতিথি ছিলেন। বাজেটে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নুনারবিল সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ ছরোয়ার, সাংবাদিক মুহাম্মদ কামালুদ্দিন ও মো. রফিকুল ইসলাম, পৌরসভার কাউন্সিলর জাহানারা বেগম, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাপান বড়–য়া প্রমুখ। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত বাজেটে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ২০ হাজার ৬৬ টাকা রাজস্ব আয় এবং ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ খাতে সাধারণ সংস্থাপন শাখার জন্য ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, স্বাস্থ্য ও পয়ঃ প্রণালী খাতে ৯ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, পানি সরবরাহ খাতে ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার ১৮০ টাকা, সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনুদান ও খরচ বাবদ ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং জরুরী ত্রাণ খাতে ১ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়।
উন্নয়ন খাতে মোট আয় ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। তম্মধ্যে সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরি বাবদ ১ কোটি টাকা, জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্প হতে ৫ কোটি টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ নগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হতে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক বিশেষ বরাদ্দ ৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এ খাতে ব্যয়ের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়নে ১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তম্মধ্যে সোলার সড়ক বাতি লাইন সম্প্রসারণ/সংস্কার বাবদ ২ কোটি টাকা, মার্কেট নির্মাণ, সংস্কার, টার্মিনাল সংস্কার ২ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা। রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট ড্রেন নির্মাণে ৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উন্নয়ন খাত যেমন কবরস্থান, শশ্মান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রিংওয়েল, টিউবওয়েল, সিঁড়িঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন/ সংস্কার খাতে ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
ঘোষিত বাজেটের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপিসহ সকল জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম।