লামা পৌরসভায় ওএমএস’র চাল ও আটা বিক্রি শুরু

NewsDetails_01

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধি নিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে বান্দরবানের লামা পৌরসভায় চালু হয়েছে ওএমএস কার্যক্রম ।

রোববার (২৫ জুলাই) থেকে সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানের লামা উপজেলার লামা পৌরসভা এলাকায় এই কার্যক্রমে ৬টি দোকানে ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়েছে।

শুক্রবার ছাড়া আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনূসরণ করে এই কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতিকেজি আটা ১৮ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিলন কান্তি চাকমা।

NewsDetails_03

তিনি জানান, প্রথম দিন পৌরসভা এলাকার বাজার পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া ও গজালিয়া বাস স্টেশনে এবং দ্বিতীয় দিন কলিঙ্গাবিল, মধুঝিরি ও লাইনঝিরিতে ডিলাররা এসব বিক্রি করবেন। প্রতি ডিলার দৈনিক দেড় টন করে চাল এবং এক টন করে আটা বরাদ্দ পাবেন। সিডিউল মোতাবেক প্রতি একদিন পর পর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্ব স্ব দোকানে এসব বিক্রি করবেন ৬জন ডিলার।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পাড়ার ডিলার সঞ্জয় দাশ বলেন, করোনাকালীণ সময়ে ওএমএস’র কার্যক্রমে নি¤œ আয়ের মানুষরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। প্রথম দিন বিকাল থেকে ন্যয্য মূল্যে এ চাল ও আটা বিক্রি শুরু করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় চলতি মাসের ১ জুলাই থেকে টানা দুই সপ্তাহ চলে কঠোর বিধিনিষেধ। পরে ঈদুল আজহার কারণে আট দিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। আবার ২৩ জুলাই থেকে ফের শুরু হয় ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। তাই নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ওএমএস খাতে চাল ও আটার (গম) বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদফতর থেকে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট (শুক্রবার ছাড়া) পর্যন্ত মোট ১২ দিন পর্যন্ত ওএমএসের বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় চাল ও আটার বরাদ্দ বিভাজনের প্রস্তাব পাঠালে খাদ্য মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়।

আরও পড়ুন