সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লামা পৌরসভার বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কল্পে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৩ টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য হাতে নেয়া হয়েছে। এসকল প্রকল্পের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে “জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব মোকাবেলার জন্য পৌর এলাকায় নদী ভাঙন রোধ, জলাবদ্ধতা দূরিকরণ ও পরিবশে উন্নয়ন ” প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ সকল প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে পৌরসভার নয়াপাড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নয়াপাড়া জুমা মসজিদ পর্যন্ত আর.সি.সি ড্রেন ও স্লাব নির্মান, লামা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে লামা বাজার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আর.সি.সি ড্রেন ও স্লাব নির্মান, চাম্পাতলী পাহাড়তলী পাড়া পুকুরের পাশে আর.সি.সি রিটেননিং ওয়াল নির্মান, সাবেক বিলছড়ি রাস্তায় রিটেননিং ওয়াল নির্মাণ, লাইনঝিরি মাদ্রাসা সংলগ্ন আর.সি.সি রিটেননিং ওয়াল নির্মান, মাতামুহুরী নদীর বাজার ঘাটের ঢালু অংশ ভাঙন প্রতিরোধে আর.সি.সি ব্লক স্থাপন এবং বিভিন্ন স্থানে খুটিসহ সৌর বিদ্যুৎ সড়ক বাতি সরবরাহ ও স্থাপন। এডিপি’র অর্থায়নে ৮০ লক্ষ ৮৯ হ্জাার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে- পৌর ভবনের দ্বিতীয় তলা সম্প্রসারণসহ তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প, এডিপি’র অর্থায়নে ৬৮ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে আরো ১১ টি প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।
আরো জানা গেছে, প্রকল্প গুলো হচ্ছে- চাম্পাতলী মসজিদের সামনে থেকে আজিজুল হামিদের বাড়ি অভিমুখি রাস্তা এইচ.বি.বি দ্বারা উন্নয়ন, টি.টি এন্ড ডিসি কমিউনিটি ক্লিনিকের রাস্তা এইচ. বি.বি দ্বারা উন্নয়ন, লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হতে বটতলী পর্যন্ত আর.সি.সি গাইড ওয়ালসহ রাস্তা উন্নয়ন, লামা প্রেসক্লাবের নীচ তলায় টাইলস স্থাপন, চেয়ারম্যান পাড়া মসজিদে আর.সি.সি টপ স্লাব স্থাপন, কুড়ালিয়ার টেক জামে মসজিদে আর.সি.সি টপ স্লাব স্থাপন, কলিংগাবিল মার্কাজ মসজিদের অজুখানা নির্মান, মধুঝিরি পূর্ব পাড়া খোকনের বাড়ি সংলগ্ন গাইড ওয়াল নির্মান ও এইচ.বি.বি দ্বারা উন্নয়ন, মধুঝিরি মাষ্টার পাড়া মিরাজের বাড়ি হতে মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা গাইড ওয়ালসহ এইচ.বি.বি দ্বারা উন্নয়ন, ফকির পাড়া আইয়ুবের বাড়ি পর্যন্ত এইচ.বি.বি রাস্তা ও ড্রেণ নির্মান এবং হরিণঝিরি কলা বুড়া পাড়ার উচিংথোয়াইর বাড়ি থেকে দক্ষিন কলা বুড়া পর্যন্ত রাস্তা এইচ.বি.বি দ্বারা উন্নয়ন।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন পৌর বাস টার্মিনালের নির্মান কাজ প্রায় শেষ। টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর বাজারে যানযট নিরসনসহ যানববাহন চলাচলের ক্ষেত্রে শৃংখলা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন পরিবহন শ্রমিক, চালক ও মালিকরা।
লামা পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামের বাসিন্দা রফিক সরকার জানান, বর্তমান সরকারের আমলে পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদিত হয়েছে। বর্তমানেও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডেই উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে পৌরসভাটি একটি আধুনিক পৌরসভায় পরিনত হবে বলে।
পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ রফিক বলেন, বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন ২৩টি প্রকল্পের মধ্যে সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কাজ সম্পন্ন হলে পৌরসভা এলাকা তথা নাগরিকদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে।
পাঁচ কোটি উনষাট লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২৩টি উন্নয়ন কাজের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা পৌরসভার প্রকৌশলী রাজিব বড়–য়া জানায়, বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে এবং কিছু প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। সম্পূর্ণ গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ বিষয়ে লামা পৌরসভা মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। পৌর নাগরিকদের সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা সমুহের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে নদী ভাঙ্গন রোধসহ গুরুত্বপুর্ণ ২৩টি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।