বান্দরবানের লামা পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি। আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এখন পার করছে ব্যস্ত সময়। শেষ মুহুর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি চালাচ্ছে নানা প্রচার প্রচারণা। আর এই প্রচার প্রচারণায় কেউ কেউ ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। অন্যদিকে যোগ্য ও উন্নয়নবান্ধব প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে আগ্রহী সাধারণ ভোটাররা।
নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে পৌর এলাকা জুঁড়ে ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের ব্যানার আর পোস্টারে, সকল প্রার্থীদের পক্ষে চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচার। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ,বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মেয়র পদে লড়ছেন ৩জন প্রার্থী,আর অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে জয়ের আশায় মনোনয় নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন ৩৫জন কাউন্সিলর প্রার্থী।
এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক মেয়র মো.জহিরুলর ইসলাম, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি থেকে মোহাম্মদ শাহীন আর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছে এ টি এম শহীদুল ইসলাম। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা শোনাচ্ছেন নানা উন্নয়নের কথা আর ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
আওয়ামীলীগ মেয়র প্রার্থী মো.জহিরুলর ইসলাম বলেন, গতবারে নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে অন্তত ১শত কোটি টাকার কাজ সম্পাদন এবং চলমান রয়েছে লামা পৌর এলাকায়। আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে লামার প্রত্যেক ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়েছে। নির্বাচনে অন্তত নব্বইভাগ মানুষ দলমত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এর মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহীন বলেন,সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আগামী দিনে বিএনপি লামা পৌরসভার নেতৃত্ব দেবে, আর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহীন আরো বলেন, দীর্ঘদিন লামা পৌরসভায় বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু পৌরসভার মেয়র হলে আরো উন্নয়ন হবে।
জাতীয় পাটি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলাম বলেন,এবারের নির্বাচনে আমার নির্বাচনী ইশতেহার ১২টি আর তার মধ্যে ১নং হলো লামা পৌরসভার সকল পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখা। জাতীয় পাটি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলাম আরো বলেন,সুষ্ঠ ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।
এদিকে যোগ্য ও উন্নয়নবান্ধব প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে আগ্রহী সাধারণ ভোটাররা। সাধারণ ভোটাররা বলছে, এলাকার শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের সাথে যার কাজ করার দক্ষতা রয়েছে এবং আগামী দিনেও কাজ করতে পারবে তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা হবে।
লামা পৌরসভার সাবেক বিলাইছড়ি এলাকার ভোটার মো.ইসলাম বলেন, এই নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা এখন পার করছে ব্যস্ত সময়। শেষ মহুর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি চালাচ্ছে নানা প্রচার প্রচারণা,তবে আমরা তাকেই ভোট দেব যিনি এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নের জন্য বেশি কাজ করবে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের কথা জানান, জেলা নির্বাচন অফিসার। জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছে ,এখনো কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোন ধরণের অভিযোগ পাইনি। তিনজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নির্বাচনী কাজ করছে এবং কোন প্রার্থী আচরণবিধি ভাঙ্গছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছে।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত লামা পৌরসভার নির্বাচন ১৩ হাজার ৩শত ৮৯জন ভোটার রয়েছে এবং ব্যালেট পেপারে মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম।