লামা রনক্ষেত্র : মন্দিরে হামলা, আহত অর্ধশত
বিজিবি মোতায়েন
কুমিল্লায় কোরান অবমাননার ঘটনার জের ধরে রনক্ষেত্র বান্দরবানের লামা। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে লামা বাজারে লামা সর্বস্তরের মুসলিম তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে মুসল্লিরা প্রতিবাদ সমাবেশ করে। আর এই সমাবেশ এর পর লামা উপজেলার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়, এসময় পুলিশ সদস্যসহ আহত হয় অর্ধশত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে লামা বাজারে কোরান অবমাননার এই প্রতিবাদ সভায় শতাধিক মুসল্লি জামায়েত হয়। সভায় লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহীন ও ওলামালীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লামা থানার এসআই জুম্মা মোল্লা বলেন, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলাই পরিস্থিতি শান্ত রাখতে লামা বাজারে ৩০ জন পুলিশ, ১ প্লাটুন বিজিবি ও ২ প্লাটুন সেনাসদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে উপজেলাটিতে। পারতপক্ষে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। সবচেয়ে বেশি আতংক বিরাজ করছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা জেলার সিনিয়র নেতাদের ফোন করে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন। এই প্রথম সাম্প্রদায়িক এই সংঘাতের ফলে এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে জেলার ৭টি উপজেলায় পূজা মন্ডপে।
এই ব্যাপারে লামা হরি মন্দির কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টচার্য বলেন, যে হিসাবে আমাদের উপর হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে প্রতিবাদ করে লাভ নেই, আমরা সৃষ্টি কর্তার কাছে বিচার চাইবো।
এদিকে ঘটনার পর বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজিসহ প্রশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তারা লামা উপজেলা অবস্থান নিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে উদ্দ্যেগ গ্রহন করছেন।
এই ব্যাপারে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়ন করা হয়েছে, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।