বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনার কারনে ব্যবহারের পানি নেই গত ১০ দিন যাবত। এতে করে দূর-দূরান্ত থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত ও বহিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা পানির অভাবে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। টয়লেট বা শৌচাগারে পানি না পেয়ে রোগীরা বাইরে থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় কাজ করছেন তারা। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত ডায়রিয়া রোগীদের অবস্থা আরো নাজুক। ১০ দিন ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় এখনো ৩২ শয্যাই রয়ে গেছে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির কার্যক্রম। প্রতিদিন আন্ত বিভাগে ৩৭জন; আবার কখনো কখনো ৫০-৬০ পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়ে থাকে এখানে। আবার বহি: বিভাগে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুই শ রোগী চিকিৎসা নেন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানি চাহিদা মেটানোর জন্য একটি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয় বহু বছর আগে। যাতে শুষ্ক মৌসুম এলেই আর পানি পাওয়া যায় না। সারা দিন মোটর চালালেও ট্যাংকি ভরেনা।
সোমবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্ত বিভাগে ভর্তিকৃত রোগী মোহছেনা বেগম ও আলি আমজাদ জানায়, আমরা দুই দিন হলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছি। কিছুক্ষণ পর পর আমাকে টয়লেটে যেতে হয়ে, কিন্তু টয়লেটে কোন পানি নেই। তাই খুব সমস্যা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
আরেক রোগী শারমিন আক্তার ও শিশু উম্মে সালমার অভিভাবক জানায়, আমরা কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি ৪দিন বা কারো ৩দিন হয়ে গেল। ভর্তির পর থেকে দেখছি টয়লেটে কোন পানি নেই। তাই বাইরে থেকে বোতলজাত পানি কিনে ব্যবহারিক কাজ সারতে হচ্ছে।
পানি সংকটের সত্যতা স্বীকার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই বলেন, টিউবওয়েলে পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় মোটরে পানি উঠছে না। তাই রোগীদের মাঝে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। দুই একদিনের মধ্যে পৌরসভা থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে এর সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।