বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ (এলএসডি)। প্রায় গত ৮ মাসে দুই উপজেলায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ১ হাজার ৫৮০টি গরু। এর মধ্যে মারা গেছে ৩টি গরু।
জানা যায়, এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরের তাপমাত্রা হয় ১০৩-১০৫ ডিগ্রি। গরু খাওয়া বন্ধ করে দেয়। শরীরের বসন্তের মতো গুটি গুটি চাকা দেখা দেয়। পরে সেখান থেকে পুঁজ জমে ফেটে গিয়ে মাংস খসে পড়ে। জ্বরের সঙ্গে মুখ দিয়ে এবং নাক দিয়ে লালা বের হয়। পা ফুলে যায়। ফলে দুধ উৎপাদনও কমে যায়। এই রোগ এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এডিস মশা ও মাছি। গরুর লালা থেকেও ছড়ায়। আক্রান্ত গাভী থেকে বাছুর দুধ পান করলে সেই বাছুরও আক্রান্ত হতে পারে।
আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নের গরুর মালিক ছাবের আহামদ জানায়, গত মাসে গাভীর গলায় ছোট ছোট ফোসকা উঠতে দেখা যায় । পরে চামড়া উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয় । ওই গাভী থেকে দুধ খাওয়ার পর বাছুরটিরও ফোস্কা উঠতে থাকে । বিষয়টি জানালে প্রাণীসম্পদের কর্মকর্তারা এলএসডি দেয় । সুস্থ হয়ে উঠে বাছুরটি ।
এ রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলী বাজারের উথোয়াইচিং মার্মার গরু, বিজয় ত্রিপুরা পাড়ার আন্দ্রে ত্রিপুরার গরু ও কলারঝিরির উপরে তঞ্চঙ্গা পাড়ার একটি গরু মারা গেছে বলে জানান, উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ ইবনে রাওহা।
এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রূপম চন্দ্র মহন্ত বলেন, এই রোগের কোন প্রতিষেধক নেই । মশা মাছির মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়ায় । আক্রান্ত গরুকে মশা মাছি থেকে আলাদা রাখতে হয় ।