রাজধানীর গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্ট ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের অদূরে হামলার প্রভাব পড়েছে বান্দরবানের পর্যটন শিল্পে। শঙ্কার মধ্যেও সবুজের চাদরে ঢাকা প্রকৃতিকে দেখার এবং সারি সারি পাহাড়ের ওপর দিয়ে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণ পিয়াসুরা ছুটে আসছেন বান্দরবানে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সামিয়া রহমান বলেন, পাহাড়ে মেঘের ভেলা আর রোদ-বৃষ্টির খেলা দেখতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে বান্দরবানে নীলাচলে এসেছি। সত্যেই পাহাড়ের ভাজে ভাজে মেঘ লুকিয়ে আছে।পাহাড়ের সঙ্গে মেঘের লুকোচুরি খেলা এবং মেঘ উড়ে যাবার দৃশ্য দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় করছেন নীলাচল ও নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে। শৈলপ্রপাত আর মেঘলার লেকের জলে গা ভিজিয়ে নাগরিক ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন অনেকে।
গাজীপুর থেকে বেড়াতে আসা সাইফুল আলম জানান, নানা শঙ্কার মধ্য বান্দরবানে এসেছি। পাহাড়ি ঝর্ণার জলে গা ভিজিয়েছি। এক ধরনের প্রশান্তি কাজ করছে। বন্ধুদের নিয়ে অনেক বেশি উপভোগ করছি পাহাড়ে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটকের সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার কারণে পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। যার কারণে এ বছর ঈদে আশানুরূপ পর্যটক বান্দরবানে ভ্রমণে আসেনি। শঙ্কার কারণে অনেকে হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন।এদিকে, পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। প্রত্যেকটা পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।