স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্রিট্টিশ শাসনামলে (আনুমানিক ১৯২৪ সালে) নলখাগড়ার উপর সিমেন্টের প্রলেপ ও টিন শেড দিয়ে ১০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিবেচনা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘ বিশ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এতে বৃদ্ধমান সমস্যাগুলো বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত।
অ¤øান চাকমা নামে রোগীর এক স্বজন জানান, অসুস্থ স্ত্রী নিয়ে দু’দিন ধরে এখানে আছি, মহিলা ওয়ার্ডে একটি টয়লেট নাই। বৃষ্টির মৌসুমে ভিজে ভিজে বাইরের টয়লেটে নিতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে রাতে অনেক কষ্ট হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও আবাসিক চিকিৎসকসহ ১৪জন চিকিৎসকের মঞ্জুরীকৃত পদ রয়েছে। কিন্তু তার বিপরীতে কর্মরত আছেন ৬ জন। যার মধ্যে ২জন আবার ডেপুটেশনে রয়েছে। চিকিৎসক সংকট ছাড়াও সেবিকা ও অন্যান্য পদেও মঞ্জুরীকৃত পদের অর্ধেকই শুন্য।
লাম্রাচিং মারমা নামে এক রোগী জানান, মহিলারা পুরুষদের কাছে অনেক রোগের কথা বলতে বিব্রত বোধ করেন। তাই মহিলা চিকিৎসক থাকলে ভাল হতো।
আবুল হাসেম নামে আরেকজন জানান, পেটের ব্যথার রোগী নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে আসি। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় খাগড়াছড়িতে নিয়ে যেতে হচ্ছে।
মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে থাকা ডা: নুরুল আনোয়ার জানান, চিকিৎসকদের থাকার কোন আবাসিক ব্যবস্থা নাই দীঘিনালায়। জরাজীর্ণ ভবনে চলে চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক সংকট, জনবল সংকট ও বৈদ্যুতিক সমস্যের কারণে জনগণকে কাক্ষিত সেবা দেয়া যাচ্ছেনা।
এদিকে স্থানীয় অনতিবিলম্বে উপজেলা বাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকট নিরসন এবং অবকাঠামোগত সংকট নিরসনের দ্রুত উদ্দ্যেগ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা জানান, ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যা সমাধান করে অচিরেই ১০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে চিকিৎসক পদায়নে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ করেন।