মাদকের মামলার রায়ে জেল হাতে না পাঠিয়ে শাস্তি স্বরুপ আগামী ১ বছর শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে করতে হবে বৃক্ষরোপন এবং হাটে বাজারে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আচার আচরণে, জীবনযাপনে নিজেকে পাল্টে ফেলতে হবে। ছাড়তে হবে মাদক।
আজ রবিবার মাদকের মামলায় লিটন চাকমা নামে এক আসামিকে জেলে না পাঠিয়ে নানা শর্তে প্রবেশনে এক বছরের জন্য মুক্তি দেন রাঙামাটির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, একজন প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে থাকবেন আসামি লিটন চাকমা। ওই সময় লিটন চাকমা ১০০টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপনে মনোনিবেশ করবেন এবং নিজ এলাকার হাট বাজারে মাদকবিরোধী প্রচারনা চালাবেন। কোন অপরাধে যুক্ত থাকতে পারবেন না। আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে চলবেন এবং পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবেন।
তবে, শর্তে ভঙ্গ করলে আসামীকে পড়তে হবে জেল জরিমানার মুখে। হতে পারে ১৯১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অাইন ৩৬ (১) ১৯ ক ধারার বিধান অনুযায়ী ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেল।
মামলা বাদী পক্ষের আইনজীবি ভবতোষ দেওয়ান জানান, আসামীকে জীবনযাপনে সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে আদালত প্রবেশন অফ অফেন্ডার্স অর্ডিনান্স ১৯৬০ এর ৫ ধারামতে জেল হাজতে না পাঠিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে প্রেরণ করেন। প্রবেশন কর্মকর্তা প্রতি তিনমাস অন্তর আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন।