শিক্ষায় কাইয়ুম থেকে নলেজ এগিয়ে, সম্পদে বারেক

NewsDetails_01

তৃতীয় ধাপে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও দীঘিনালার ৭ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই পর্ব শেষে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। জনমত অনুযায়ী, এদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. বারেক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নলেজ চাকমা (জ্ঞান)’র। অন্যদিকে, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাইয়ুমের অবস্থানও ততোটা দূর্বল নয়। এককথায় এ ইউপিতে নির্বাচনী লড়াই হবে ত্রিমুখী।

জানা যায়, তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) নলেজ চাকমা (জ্ঞান)। তিনি দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক (বিএসএস) পাশ করেন৷ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাইয়ুমের (ঘোড়া) লালমনিরহাটের ডিমলা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাশ করেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় পিছিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) মো. বারেক। তিনি মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারেননি। মো. বারেক বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নলেজ চাকমা (জ্ঞান) আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাইয়ুম জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

NewsDetails_03

স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে এবার হলফমানার সংযুক্তি নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। তাই প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পাওয়া যায়নি৷ তবে এলাকাবাসীর মতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাইয়ুমের চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. বারেকের সম্পদের পরিমাণ বেশি। তিন প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে পিছিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নলেজ চাকমা (জ্ঞান)। তবে প্রত্যেকের পেশাই ব্যবসা।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহেনসা লতিফুল খায়ের জানান, মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

আরও পড়ুন