সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা বের করা হয়। আর এ নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।
কাপ্তাই
রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার(২৩ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
চন্দ্রঘোনা কেপিএম হরিমন্দির প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি কাপ্তাই সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল কেপিএম হরিমন্দির প্রাঙ্গণে এই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মং মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অংসুছাইন চৌধুরী, কেপিএম লিমিটেডের জিএম(এমটিএস) প্রকৌশলী স্বপন কুমার সরকার, কাপ্তাই থানার ওসি নাছির উদ্দিন, কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কান্তি ভট্রাচার্য্য, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুর্বন ভট্রাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক উৎপল কান্তি ভট্রাচার্য্য, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত সহ হাজার হাজার ভক্ত শিষ্য উপস্থিত ছিলেন।
![NewsDetails_03](https://paharbarta.com/wp-content/uploads/ad-space-news-details.png)
জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন মঠ মন্দির এবং ইসকন মন্দির হতে আগত ভক্তরা নানা রকম সাজে ভগবান শ্রীকষ্ণের বিভিন্ন লীলা তুলে ধরেন। এছাড়া কংস, মা যশোদা, শিশুপাল, শ্রীধাম,সুধাম সহ দ্বাপর যুগের ভগবানের লীলা ক্ষেত্রের বিভিন্ন চরিত্র তুলে ধরেন। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি
বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সর্বজনীন হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা অনুষ্টিত হয়েছে।
এই শোভযাত্রা র্যালীটি আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার সর্বজনীন হরি মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হয়ে হরি মন্দির উপসানালয়ে মিলিত হয়। এতে অংশ নেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো,শফি উল্লাহ, নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি, ডা: রনঞ্জ চৌধুরী,উপজেলা শ্রমিক নেতা মতি লাল সুত্র ধর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীক কৃষন্ন কুমার দাস,সুজন দাস প্রমূখ।
উল্লেখ্য,এই প্রথম অনাঙ্খাকিত ঘটনা এড়াতে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার ট্রাকে উচ্চ শব্দের স্পীকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আচমকা কাউকে শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ ছাড়া মুখে রং মেখে অনাঙ্খাকিতভাবে কেউ যাতে শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়তে না পারে সেই দিকে নজরদারিতে ছিল গোয়েন্দারা এবং আশপাশের এলাকার ওপর নজর রাখা হয়েছিল পুলিশ সদস্যরা।