জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে তারা দুই বোন দেশের বাহিরে থাকায় তারা বেঁচে গেছেন। শেখ হাসিনার কারণে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) বিকেলে বান্দরবান বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হ্লা থোয়াই হ্রী, একে এম জাহাঙ্গীর, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ক্য সাপ্রু, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী প্রকাশ বড়–য়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারাই শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য দেশি বিদেশি চক্রান্ত করছে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে অনেক চক্রান্ত হবে, প্রপাগাণ্ডাও অনেক। ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে ।
আলোচনা সভার আগে দিবসটিকে কেন্দ্র করে জেলা শহরে বের করা হয় বর্ণাঢ্যা শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দরবান বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে গিয়ে শেষ হয় । পরে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। শোভাযাত্রা এবং আলোচন সভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। সেদিন বিদেশে অবস্থান করছিলেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে বিমানযোগে কলকাতা হয়ে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।