ভারতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ৭ম আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতা। কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে দুদিনব্যাপী এ খেলায় এশিয়ার প্রায় ৬ হাজার খেলোয়াড় এবার অংশ নেয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ টিম থেকে তিন কারাতেকাও আন্তর্জাতিক এ খেলায় অংশ নেয়।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কারাতেকাদের সাথে প্রতিযোগিতায় প্রাণপণ লড়াই করে বান্দরবানের শৈনাই মার্মা, মেসাইওয়ং মার্মা এবং মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান। লড়াইয়ের সেই চেষ্ট বৃথা যায়নি তাদের। ১৪-১৫ বয়সের ক্যাটাগরীতে স্বর্ণপদক জিতে নেন বান্দরবানের শৈনাই মার্মা। আর ১৬-১৭ বয়সের ক্যাটাগরীতে টান টান উত্তেজনাকর এ খেলায় আরেক কারাতেকা মেসাইওয়ং মার্মা স্বর্ণপদক জিতে তার ঝুলি ভারী করেন। বিদেশের মাটিতে বান্দরবানের নামটুকু অক্ষুণ্ন রাখতে পুরুষের ১৬-১৭ বয়সের ক্যাটাগরীতে স্বর্ণ জিতে নেন মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান।

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা জানান, বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের মাধ্যমে ৩১ সদস্যের একটি টিম চ্যাম্পিয়ানশীপে অংশ নেয়। চ্যাম্পিয়ানশীপে বাংলাদেশ ৯টি স্বর্ণ,৬টি রৌপ্য ও ১০টি তাম্রসহ ২৫টি পদক অর্জন করে। বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভুটান, ইরান, সৌদি আরব এবং স্বাগতিক ভারতের প্রায় ৬ হাজার খেলোয়াড় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
চ্যাম্পিয়ানশীপে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা এবং সহ-সভাপতি মো: ইকবাল হোসেন খোকনকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।
অল ইন্ডিয়া সেশিনকাই শিতো-রিউ কারাতে-দো ফেডারেশন এ খেলার আয়োজন করে। হানশি প্রেমজিৎ সেনের অধীনে সবচেয়ে বড় কারাতে ইভেন্ট ৭ম আন্তর্জাতিক কারাতে চ্যাম্পিয়াশীপ ইন্ডিয়ান চ্যালেঞ্জার্স কাপ । গত ২৯ ও ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় এ খেলা। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন ২৯ জুলাই ক্যাডেট, জুনিয়র, সিনিয়র এবং মাস্টার ক্যাটাগরি অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় দিন ৩০ জুলাই সাব-জুনিয়র ক্যাটাগরি ৫ বছর থেকে ১৩ বছর বয়সী খেলোয়াড়রা অংশ নেয়।