শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থী পেটানোর ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

খাগড়াছড়ি আদালতের স্বপ্রণোদিত আদেশ

purabi burmese market

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ির একটি আমলী আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে চেয়ারম্যান কর্তৃক শিক্ষার্থী পেটানোর বিষয়ে তদন্ড করার আদেশ দেন। তদন্ড করে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলেছে আদালত।

গত ১৩ মার্চ জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গুমতি বিরেন্দ্র কিশোর (বিকে) উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির কক্ষে ঢুকে অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়েছেন গুমতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার কারণে দেরিতে জানাজানি হলে এই বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়।

প্রকাশিত সংবাদে দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায় খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সেঁজুতি জান্নাত গত ২২ মার্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই বাদী হয়ে মিস মামলা করে একটি আদেশ দেন। মামলা নং মিস কেস ০১/২০২৩ ইংরেজি। তাতে শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে মর্মে সন্দেহের কারণে তদন্ড হওয়া আবশ্যক বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন। তাই মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ড করে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকারিয়া জানান, ‘আদালতের আদেশে তদন্ত কাজ চলছে। বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। নির্ধারিত সময়ের আগেই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হবে।’

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।