ষড়যন্ত্র করে জনপ্রিয়তা ধ্বংস করা যায়না

NewsDetails_01

শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা), খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি সংসদীয় আসন থেকে টানা দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সম্পদের পাহাড়” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে উত্তাল খাগড়াছড়ির রাজনৈতিক মাঠ।

এর প্রতিবাদে গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সংবাদ সম্মেলন ও জেলা সদর সহ সকল উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয় নানা অপকর্মের মাধ্যমে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। অল্পদিনের ব্যবধানে হয়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক।

এ লেখাটির প্রতিবাদ করে সম্প্রতি এক প্রতিবাদ সমাবেশে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কাশেম জানান, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বংশগতভাবেই ধর্ণাঢ্য ব্যক্তি। এটি একটি মিথ্যা সংবাদ।মূলতঃ সামনে তার মনোনয়ন ঠেকাতে শত্রুপক্ষ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে সহযোগিতা করছে। এসব ষড়যন্ত্রকে গুরুত্ব না দিয়ে পুনরায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে মনোনয়ন দিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের আহ্বান জানান।

NewsDetails_03

জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে এলাকায় অঘোষিত ‘রাজা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ইচ্ছামতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, টেন্ডারবাজি, অর্থের বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য, দলের পদ ও কমিটি বাণিজ্য সহ নানা অভিযোগ করা হয় এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।

পত্রিকাটিতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বিরোধী বক্তব্য তুলে ধরা হয়। এরই প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী জানান, রফিকুল আলম আওয়ামী লীগের কেউ নয়। সে জেলা আওয়ামী লীগের কোন পদ পদবিতে নেই৷ ইতোপূর্বে দুইবার সে নৌকার বিপক্ষে গিয়ে পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়াও তার বড়ভাই জাহেদুল আলম নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ষড়যন্ত্র করে জনপ্রিয়তা ধ্বংস করা যায়না। খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তায়ও ষড়যন্ত্রকারীরা ঈর্ষান্বিত।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, সংবাদটিতে অভিযোগকারী হিসেবে যাদের বক্তব্য ছাপা হয়েছে, তারা মূলতঃ দলের সুসময়ে চরম সুবিধাভোগী ও দলের দুঃসময়ে সব সময় বিরোধিতাকারী। এছাড়া জনপ্রিয় রাজনৈতিক কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও জেলা আওয়ামী লীগের সুদৃঢ় অবস্থানকে দূর্বল করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অসৎ উদ্দেশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা-ভিত্তিহীন-মনগড়া-বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আরও পড়ুন