সন্ত্রাসীরা চেয়েছে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার প্রসার না হোক : জোন কমান্ডার

আলীকদমে ম্রো সম্মেলন

NewsDetails_01

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ উপজাতি ম্রোদের বসবাস। অন্য দুই পার্বত্য জেলায় ম্রো জনগোষ্ঠীর বসতি নেই। শান্তি বাহিনী নির্মূলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্ত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় শান্তিবাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে লিপ্ত হয় ম্রো জনগোষ্ঠী। তখন থেকে সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের সাথে সে সময় থেকে এ জনগোষ্ঠীর সাথে রয়েছে গভীর আন্তরিক সম্পর্ক। এই জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, চাকরী, চিকিৎসা সেবা ও বিপদে সবার আগে এগিয়ে যায় সেনাবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছরের মত আজ সোমবার (১১ জুলাই) ম্রো সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার মঞ্জরুল হাসান।
এসময় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আলীকদম জোনের নবাগত জোন কমান্ডার মোঃসাব্বির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, লামা উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, আলীকদম সদরের ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃকফিল উদ্দিন, কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুংসহ বিভিন্ন পাড়াকার্বারী, ম্রো নেতা ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

NewsDetails_03

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার মঞ্জরুল হাসান বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে ১৫ শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় কোন সন্ত্রাসীর স্থান নেই। সন্ত্রাসীরা কখনও আপনাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনি, আনতে পারবে না। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুজব ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থে আপনাদের ব্যবহার করে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কাউকে শিক্ষিত হতে সহায়তা করেনি বরং চেয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারীরা নিরক্ষর থাকুক এবং তাদের কথা মত চলুক। সেনাবাহিনী নিজেদের জীবন দিয়ে আপনাদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছে। একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না সন্ত্রাসীদের।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের উন্নয়নে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আপনারা যে ভাবে জীবন অতিবাহিত করেছেন সেভাবে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম জীবন অতিবাহিত করুক নিশ্চয় আপনারা চান না। আগে আপনারা জুম চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সাথে সাথে চাষের জমিও কমছে। আপনার পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষিত হলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে জীবিকার নতুন রাস্তাও তৈরি হবে। সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে পরিবারের সদস্যের মত আছে, থাকবে।

সম্মেলনে শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ, খেলার সামগ্রী বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জোন কমান্ডার।

আরও পড়ুন