সবাইকে ম্যানেজ করছি, যারা সুবিধা পাইনি, তারা ঝামেলা করছে
আলীকদমে নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী বাদশা
ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সিদ্দিক কার্বারী পাড়াস্থ মাতামুহুরি নদীর চর থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এক বালু ব্যবসায়ী। এই ক্ষমতাধর বালু ব্যবসায়ি হলেন বাদশা মিয়া।
গত বুধবার (১২ আগষ্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্দিক কার্বারী পাড়াস্থ মাতামুহুরি নদীর চর থেকে দুইটি ডাম্পারে করে (মিনি ট্রাক) বালু উত্তোলন করছে বাদশা মিয়া। কোন ধরনের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে মাতামুহুরি নদীর চর থেকে বালু উত্তোলন করে এক ঠিকাদারকে বিক্রি করছেন। ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করার কারনে নদীর তীর অচিরেই ভাঙ্গনের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় আবুল কালাম,আবু সৈয়দ বলেন, যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, মনে হয় বালু উত্তোলনে কোন সরকারি বাধা নিষেধ নেই। তারা আরও জানান, কেউ বললে বলে সবকিছু ঠিক করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বাধা দিলে প্রশাসন দেবে, তোমরা(স্থানীয়রা) বাধা দেওয়ার কে? স্থানীয়দের কোন বাধাকে তোয়াক্কা না করে প্রতিদিন ২০/৩০ ড্রাম্পার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসনকে জনপ্রতিনিধি যারা জানাবে, তারাই চুপ, তাই আমরাও চুপ থাকি।

এবিষয়ে বালু উত্তোলনকারী মোঃবাদশা মিয়া বলেন, এটি তো নদীর বালু,মালিকানাধীন চর থেকে বালু উত্তোলন করছি। এক ঠিকাদারের রাস্তার কাজের জন্য বালু প্রয়োজন হওয়ায়,তাকে অল্প বালু দিচ্ছি। সবাইকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, যারা সুবিধা পায়নি, তারা একটু ঝামেলা করছে। এটি কোন বিষয় না বলেও জানান।
চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফেরদৌস রহমান বলেন, বালু উত্তোলন করছে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলে নি। তবে একবার শুনেছি সিদ্দিক কার্বারী পাড়াস্থ মাতামুহুরি নদীর চর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এবিষয়টি আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান জানান, আজ কালকের মধ্যে জানাবো।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়ে অবগত ছিলাম না। কাউকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। কেউ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।