সরকারি চাকরিতে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ কোটা পুনর্বহালের দাবি

NewsDetails_01

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি’ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও বিপনেট।

রোববার (১৩জুন) সকালে শহরের রাজবাড়ি এলাকার স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

NewsDetails_03

সংবাদ সন্মেলনে বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের স্বল্প জনসংখ্যার জাতিসত্তার নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করে ২০১৮সালের ৪অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে একাধিক শ্রেণীর কোটাসহ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি কোটা’ বিলুপ্তি করে সরকার। কোটা প্রথা বিলুপ্তির কারণে দেশের স্বল্প জনসংখ্যার জাতিসত্তার সদস্যরা তাদের কর্মসংস্থানের ন্যায্য অধিকার ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, আমাদের পাশ^বর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও নেপালেও দেশের বিশেষ প্রেক্ষিত অনুসারে ট্রাইবাল, তফসিলি জাতি, সংখ্যালঘু প্রভৃতি শ্রেনীর জনগোষ্ঠির সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটার ব্যবস্থা রয়েছে। এমতাবস্থায় সমাজের অনগ্রসর অংশ এর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণার্থে এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫) ও এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি আইন ২০২০ এ স্বীকৃত জাতিসত্তাসহ দেশের স্বল্প জনসংখ্যার জাতিসত্তার সদস্যদের সরকারি চাকরিতে ন্যায্য ও বৈষম্যহীন ভাবে অন্তর্ভূক্তি, সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালার পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মংসানু চৌধুরী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন কমিটির সাধারন সম্পাদক সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

আরও পড়ুন