তিনি বলেন, যুবলীগের নেতা নয়ন হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছি । সোমবার (০৫ জুন) দশম জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে পার্বত্য অঞ্চলের এই সাংসদ এদাবি জানান।
সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেন, কে বা কারা নয়নকে হত্যা করুক না কেন সেটার জন্য আমি এর তীব্র নিন্দা জানায়। কে বা কারা হোক না কেন দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই যে একজন লোক মারা গেছে এই সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করে সেই মিছিলের মাঝে যেটা অনুমান করা গেছে দুর্বৃত্তরা লুকিয়ে থেকে, ঘাপটি মেরে থেকে, সেই পাহাড়িদের গ্রামে উদ্দ্যেশ্য মূলক ভাবে, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করা যেতে পারে। সেজন্য ঐখানে এখন এলাকাবাসী প্রায় ২১৮টি ২২০টি বাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লোকজন এখনো আশ্বস্থ হতে পারছেনা। আজকে লংগদুতে ডিআইজি সাহেব ও বিভাগীয় কমিশনার সাহেব গেছেন, ওখানে এখনো পর্যন্ত লোকজন আস্থা রাখতে পারছেনা। চরম নিরাপত্তাহীনতায়, এই বৃষ্টি বাদলের দিনে ওরা এখন বন বাধারে ঝাড়ে-জঙ্গলে অবস্থান করছে। কোথায় খাদ্য, এই ঝড় বাদলের দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ছে,অনেক শিশু- বৃদ্ধরা। তাই এমতাবস্থায়, লক্ষ্য করা গেছে দুর্বৃত্তরা মূলত সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এবং এলাকায় অস্থিতিশীল সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এই ধরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান করছি, বিগত ১৯৮৯ সালে ৪ জুনে সালে লংগদুতে এই ধরণের হামলা হয়েছিল।
জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার যে বক্তব্য রাখেন তার অডিওটেপ পাহাড়বার্তার কাছে সংরক্ষিত আছে। আর সেই অডিও টেপ থেকে এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
ঘটনার সাথে ওয়াদুদ ভূইয়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত, কারণ যে দিন লাশ পাওয়া গেল সে দিন তার একটি স্ট্যাটাস বাঙ্গালীদের উস্কে দেওয়া হয়েছিল