সরকার পার্বত্যচুক্তি’র মৌলিক ধারাগুলো বাদ দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের নামে মিথ্যাচার করছে
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) অংশের নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার পার্বত্যচুক্তি’র মৌলিক ধারাগুলো বাদ দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের নামে মিথ্যাচার করছে। এই চুক্তি পাহাড়ি জনগণের রক্ষাকবচ। এটি আমাদের অস্তিত্ব সংরক্ষণ করে। অথচ সেই চুক্তি নিয়ে সরকার বছরের পর বছর মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। মৌলিক ধারাগুলো বাদ দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
আজ বৃহষ্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব অভিযোগ করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক ভূমি কমিশন বিধিমালা প্রণয়ন করে দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম শুরু করার দাবিও জানান সংগঠনটির নেতারা।

বক্তারা বলেন, চৃক্তি মোতাবেক সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ, ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে থাকার কথা। স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা করা হয়নি। ১৯০০সালের শাসনবিধি কার্যকর করা হচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের জমি-ভিটা ফেরত দেয়া হয়নি। উল্টো প্রতিনিয়ত বেদখলের ঘটনা ঘটছে।
২রা ডিসেম্বর উদযাপন কমিটির আহবায়ক আরাধ্যপাল খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বিভূ রঞ্জন চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রণব চাকমা, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিন্ধু কুমার চাকমা, ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরনার্থী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সন্তোষিত চাকমা বকুল, উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যান সমিতির সভাপতি রবি শঙ্কর চাকমা, ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিটন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় মহিলা সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক রত্না তঞ্চগ্যা, যুব সমিতির সভাপতি জ্ঞান চাকমা প্রমুখ।