বুধবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সাজেকে সর্বমোট ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা হলো ২৫০০। স্থানীয় আঞ্চলিক দলের অব্যাহত হুমকির কারনে এই সকল পরিবারগুলো জুমচাষ করতে না পারায় চলমান খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকার তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়, রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ৪০ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, নগদ ১০ লক্ষ টাকা বিতরণ সম্পন্ন করা ছাড়াও আরো বিশেষ বরাদ্ধ প্রদানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাজেকের প্রকট খাদ্য সংকট নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলায় চেষ্ঠা চালাচ্ছে। এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যে কেউ যাতে কর্ণপাত না করেন এবং সাজেক নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতেই গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত তার সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেওয়ায় সাজেকের লোকজন পূর্বেকার মতো তাদের উৎপাদিত জিনিসপত্র আনা নেয়া করতে পারছেনা অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ জানান, সীমান্তবর্তী উক্ত সাজেকের দূর্গম এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকটসহ উক্ত এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানোন্নয়নে সাজেকের সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সাথে যোগাযোগ করে সীমান্ত হাট বসানো হলে উক্ত এলাকার অধিবাসীরা খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাজেকের চলমান খাদ্য সংকট নিরসনে পার্বত্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে আরো পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য শস্য বরাদ্ধ দেওয়ার দাবি জানান আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও শীঘ্রই সাজেক সংকট মোকাবেলায় দলীয়ভাবেও খাদ্যশস্য বিতরন করা হবে।