সাদা হতে চান!?

NewsDetails_01

ফেয়ারএন্ড লাভলী কে “বাংলাদেশ “চ্যালেঞ্জ এ হারাতে পারেনি কেউ! তাই এবার উনারা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় চ্যালেঞ্জ করলো “জাপান, সিঙ্গাপুর, দুবাই ” এর কিছু বিখ্যাত ক্রিমকে এবং যথারীতি সেখানেও তারা জিতে গিয়ে আমজনতার মধ্যে জানান দিলো “চামড়া সাদা করিতে উনাদের জুড়ি মেলা ভার”! না এখানে শেষ নয় এবার “লাভলী আপা “সারা দুনিয়ার পাবলিকের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে! সারা দুনিয়া মানে ইনক্লুডিং আফ্রিকা! কি সাংঘাতিক!!
ঈশ্বরের একচোখা দৃষ্টিতে ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ বিভিন্ন কালারে বিস্তৃত। এখানে সাদা চামড়ার রমনী, বাদামি চামড়ার পুরুষ, কালো নারী, কুচকুচে কালো নারী এবং পুরুষের বসবাস বহুকাল ধরেই। fb_img_1471388858314-01-1
এই বিবেচনায় ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলো ভালো অবস্থানেই আছে। যারা সাদা তারা কেবলই সাদা আর যারা কালো তারা কালো।
কিন্তু যত সমস্যার মুলে বাদামি রংটা। এই অঞ্চলের পুরুষ মানুষ কালো বা বাদামী বর্ণের হলেও অবশ্য তেমন সমস্যা নেই। যত সমস্যা সব মেয়েদের বেলায়। শুধু মাত্র গায়ের রং কালো হবার কারণে এই অঞ্চলে সুইসাইড করা মেয়ের সংখ্যা একেবারে কম নয়। কারণ বিয়ে করতে গেলে “কালাচাঁনের ও একখান সাদা চামড়ার বউ চাই”।
শুধু আমাদের দেশের দিকে যদি তাকাই তাহলেই দেখতে পাবো “কালো “রংয়ের মেয়েদের কি অসহায় অবস্থা। যতই সে সুশিক্ষিত সুশিলা হোক, যোগ্যতার মাপকাঠিতে ষোলকলা পূর্ণ থাকুক তবুও যদি গায়ের রংটা কালো হয় তবে নিশ্চিত নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ, কটু কথা, উপহাস যেনো হয়ে উঠে তার নিত্যদিনের সঙ্গী….. কথায় আছে “এমনি নাচেনি বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি “আমাদের সমাজ ব্যাবস্থার এই মারাত্মক ত্রুটিটাকে চমৎকার ভাবে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু কম্পানি।তারা তাদের বিজ্ঞাপন গুলো এমন ভাবে তৈরী করছে যেখানে একটা কালো মেয়ে সহজেই হীনমন্যতায় ভুগবে! এই হীনমন্যতা আস্তে আস্তে গ্রাস করে নিচ্ছে তার স্বভাবসুলভ জীবনযাপন। অনেকেই রীতিমতো ফরসা হবার জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে বিষাক্ত সব প্রসাধন সামগ্রীর দিকে।
ফলাফল খুব তাড়াতাড়ি তারা পেয়ে যাচ্ছে “সাদা চামড়া “আর স্থায়ী ভাবে হারাচ্ছে রূপের স্বাভাবিক সৌন্দর্য!
কিন্তু এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণেক কি কোন উপায় নেই!?
বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে কি কোনদিনই সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা গ্রহণ করা হবে না?
এই প্রশ্নগুলো আপাতত কেবলই প্রশ্ন হয়েই থাক….!!

আরও পড়ুন