নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী পাহাড়ের পাঁচ নারী ফুটবলার আনাই, আনুছিং, রুপনা, রিতু ও মনিকাকে বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর তাদেরকে গাড়িতে নিয়ে রাঙামাটিতে হবে বিজয় মিছিল। পরে রাঙামাটি স্টেডিয়ামে হবে সংবর্ধনার মূল অনুষ্ঠান। রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ যৌথভাবে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আজ রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সংবর্ধনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ অাশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন আরা সুলতানা, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফজলুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মহসীনসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদকগণ, ক্রীড়া সংগঠক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঘাগড়া থেকে পাঁচ নারী ফুটবলারকে নিয়ে রাঙামাটি শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহরের দোয়েল চত্তর টার্ন নিয়ে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে এসে বিজয় মিছিল শেষ হবে। পরে বিকেল ৪টায় স্টেডিয়ামে ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেওয়ার পর শুরু হবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোন ক্লাব বা সংগঠন অথবা প্রতিষ্ঠান এই পাঁচজনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করতে চাইলে তাদেরকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নিকট নাম জমা দিতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বীর কন্যাদের বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এজন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অদম্য লড়াকু খেলোয়াড়েরা, যারা আমাদের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নকে আলিঙ্গন করেছে, ছিনিয়ে এনেছে বহুল প্রত্যাশিত বিজয়, সেই সকল স্বপ্নসারথীদের জন্য এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে রাঙামাটিবাসীকে স্বতস্পুর্ত অংশগ্রহন করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।