আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এবং রোজার কারণে কিছু ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (৪ মে) সকালে গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি। এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু যেহেতু একটু থমকে গিয়েছিল। আবার রমজান মাস। এই রমজানে মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে সেজন্য দোকান খোলা। ঈদের কেনা বা সেহরি খাওয়া বা রোজার মাসে বাজার চলতে পারে, সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে সেগুলোর খোলারও মানে চালু রাখারও নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। আর প্রতিটি জেলায় জেলাভিত্তিক যে সমস্ত ছোটখাট ক্ষুদ্র শিল্প রয়ে গেছে সেগুলো তারা চালাতে পারবে। সেইভাবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকা যেন সুরক্ষিত থাকে, মানুষকে একেবারে ঘরে বন্দি না করে সীমিত অবস্থায় জরুরি কিছু কিছু কাজ চালাতে হবে। যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। ঈদের আগে যদিও বড় জমায়েত করা যাবে না। সবাইকে যার যার মতো দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’ সবাইকে জরুরি কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার এ বক্তব্যে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে আরও ৪ দফা বাড়িয়ে ছুটির মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। সেই ছুটি আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এই সাধারণ ছুটির মধ্যেই সরকার পোশাক কারখানাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দফতর সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া সরকারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সীমিত আকারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।