সুন্দরবনের পাশে এলজিপি কারখানার অনুমতি হাইকোর্টের

সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বোতলজাত (সিলিন্ডার) এলজিপি গ্যাসের কারখানা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অনুমতি দেন।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

NewsDetails_03

শুনানি শেষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের মোংলা এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প এলাকায় বোতলজাত এলপিজি উৎপাদন কারখানা স্থাপনের জন্য রিটাকারী কোম্পানির আবেদন যথাযথ বলে রায় দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে রিটাকারী কোম্পানিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিট আবেদন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প এলাকায় এলজিপি কারখানা স্থাপনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে তিনটি কোম্পানি। কিন্তু সরকারের অন্যান্য শাখা থেকে কারখানা স্থাপনের অনুমতি পেলেও পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরে ২০১৮ সালে অক্টোবরে পরিবেশগত ছাড়পত্র না পাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে টিএমএমএসসহ তিনটি কোম্পানি। সেই রিট আবেদনের পরিপেক্ষিতে এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এ রায় ঘোষণা করা হলো। এ রায়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প এলাকায় এলজিপি কারখানা স্থাপনে ওই তিনটি কোম্পানির আর বাধা থাকবে না।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংরক্ষিত ২০১০) অনুযায়ী সরকার সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে গত ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট তারিখে হাইকোর্ট সুন্দরবনের ইসিএ এলাকায় কোনো ধরনের শিল্প কারখানা স্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন