সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার নাইক্ষ্যংছড়িতে আনন্দ র্যালি
নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ্ আহাম্মেদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
‘নাইক্ষ্যংছড়ি ছালেহ্ আহাম্মেদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের’ ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার এক আনন্দ র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে ।
সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব কমিটির সূত্রে জানান, ছালেহ্ আহাম্মেদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের গৌরবের ৫০ বছর পূর্তিতে সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে আগামী ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে । প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবে । র্যালী শেষে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের নিবন্ধন কার্যক্রম লগো উম্মোচন এবং বিভিন্ন সকল ইভেন্টের সূচী ঘোষণা দেয়ার কথাও রয়েছে বলে জানান।
এতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করবেন- ছালেহ্ আহাম্মেদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার সুযোগ্য পুত্র ও সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো : শফি উল্লাহ্।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানু ওয়ান চাক্, উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়ে মার্মা,নারী ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার গুন্নু,উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো : ইমরান মেম্বার, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম কাজল প্রমূখ।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সূবর্ণ জয়ন্তী আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বলেন, বিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব অনুষ্ঠানটির আয়োজন স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করছি । শিক্ষাজীবন শেষ করে দীর্ঘবছর পর আবার সবাই একসঙ্গে মিলিত হতে যাচ্ছি ।তবে প্রথম দিকের ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেছেন, তারপরও যারা আছেন তাদের দেখতে পাওয়াটাও আমাদের কাছে ভাগ্যের ব্যাপার।
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সহ-সভাপতি ও ডা: মো : ছৈয়দ নূর বলেন, ১৯৬৯ সালের উপজেলার একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছালেহ্ আহাম্মদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালটির যাত্রা শুরু হয়। আর সেই হিসেবে চলতি বছরের ২০১৯ সালে ৫০ বছর পূর্তি হয়। কিন্তু ওই বছরে ইউপি ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবং বিদ্যালয়ে কেন্দ্র পরীক্ষা থাকায় নির্ধারিত সময়ে উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।
সেই পরিকল্পনা উৎসবটি এই বছরের জানুয়ারিতে করা হচ্ছে তবে সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন বলে এই প্রতিবেদকে জানান।