সেই রাবেয়া খাতুনের ঘরে পৌঁছে গেল ঈদের সেমাইসহ বিভিন্ন উপকরণ

পাহাড়বার্তা'র সংবাদ

NewsDetails_01

আমার ঘরে সেমাই চিনি এসেছে । রান্নার জন্য মুরগীসহ ডাল চালও ব্যবস্থা হয়ে গেছে। তাই নিজ ঘরে ঈদ করতে পারবো। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে ঈদ পালন করবো। এসব কথা বলেছেন বান্দরবানের রুমা উপজেলার সদ্য স্বামী রাবেয়া খাতুন(৫৫)।

গতকাল বুধবার বান্দরবানের জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল পাহাড়বার্তা’য় “ঘরে তো সেমাই কেনারও টাকা নাই” শিরোনামে মানবিক বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর মানবিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বান্দরবানের রুমার যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক জর্জ লালটানজুয়াল বম।

জর্জ বম নিজ উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য চাল, ডাল, মুরগীসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী রাবেয়া খাতুনের বাসায় পৌঁছে দেন।

সদ্য স্বামী মারা যাওয়া রাবেয়া খাতুন বান্দরবানের রুমায় খক্ষ্যংঝিরি বাজার এলাকায় বন বিভাগের রুমা রেঞ্জার অফিস সংলগ্নে একটি কুঁড়ে ঘরে থাকেন।

যুবলীগের নেতা জর্জ লালটানজুয়াল বম এর নিজস্ব অর্থ দিয়ে চাউল ৫ কেজি, ব্রইলার মুরগি দেড় কেজি ১টি, সেমাই ১কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, তেল ৫০০ গ্রাম, চিনি ১কেজি।

এছাড়াও পাইন্দু ইউপি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইলুকথাং বম তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ঈদ উদযাপনের জন্য রাবেয়াকে নগদ ৫শ টাকা দেন।

NewsDetails_03

এর আগেও গত রোজার দিনগুলোতে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রোজদারদের নিজ অর্থায়নে ইফতার বিতরণ করতে আজ এখানে কাল ওখানে, এভাবে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়তেন জর্জ বম।

তাছাড়াও গত শীত মৌসুমে শীতার্ত মানুষের মাঝে, তাছাড়া শীত নিবারণের কম্বল বিতরণ ও লকডাউনের কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এ যুবলীগের নেতা।

এদিকে রাবেয়া খাতুন পাহাড়বার্তা’কে বলেন, ঘরে চাল ডাল কোনো কিছু খাবার নাথাকায় ঈদের কি রান্না করবো, কার কাছে চাউল চাইবো, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না।

তবে খেয়ে, না খেয়ে পুরো রোজা রাখতে পারছি। আল্লাহর দোয়ায় আপনারা আমার ঘরের জন্য এতো খাবার এনে দিয়েছেন। এতে আমি খুশি। সবার জন্য দোয়া করছি বলে আবারো সদ্য মারা যাওয়া স্বামীর কথা তুলে তার চোখে জল ভেসে ওঠেছিল।

অন্যদিকে জর্জ লালটানজুয়াল বম পাহাড়বার্তা’কে বলেন,গত বুধবার রাতে পাহাড়বার্তা’য় ঘরে তো সেমাই কেনারও টাকা নাই’ সংবাদটি পড়ে মনে কেমন যেন লাগছিল আমার। রাতেই সঙ্গে সঙ্গে এ বৃদ্ধ মাকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমি পাহাড়বার্তা নিয়মিত পড়ি। এ ধরণের মানবিক আবেদন বা দরিদ্র গরীব লোকজনের কষ্টের কথা তুলে ধরাটা খুব ভাল লেগেছে। শাসক শ্রেণির লোকজনেরও দৃষ্টি গোচরে আসবে বলে জানালেন জর্জ বম।

আরও পড়ুন