সেনাবাহিনীর সহায়তায় নতুন ঘর পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

ভাঙা ঝুপড়ীতে থাকা বৃদ্ধ দম্পতির স্বপ্ন পূরণ; নতুন ঘর’’ দিলেন সেনাবাহিনী”। এক সময় ভাঙা ঝুপড়ি ঘরই ছিল বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তার স্ত্রী প্রভাতী ত্রিপুরার একমাত্র আশ্রয়। বয়সের ভার, দারিদ্র্যের কঠিন চক্র, আর সরকারি সহায়তার অভাবে কেটেছে তাদের জীবনের অনেক বছর।”

“কিন্তু এক সংবাদ বদলে দিল তাদের জীবন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তাদের অসহায় জীবনের খবর পৌঁছে যায় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডারের কাছে।” “এরপর সেনাবাহিনীর নিজস্ব অর্থায়নে ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শুরু হয় নতুন ঘর নির্মাণের কাজ।”

“অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান! আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ খাদেমুল ইসলামের উপস্থিতিতে বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও প্রভাতী ত্রিপুরার নতুন ঘরের দ্বার উন্মোচন করা হয়।”

লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম বলেন, সংবাদমাধ্যমে এই অসহায় দম্পতির দুরবস্থার কথা জানতে পান। এরপর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার মহোদয়ের নির্দেশে তাদের আশ্রয়ের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিই এবং আমরা একটি ঘর বানিয়ে দিয়েছি।

NewsDetails_03

“নতুন ঘর পেয়ে বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন “আগে তো আমার ঘর নাই, এখন তো আর্মিরা ঘর দিয়েছে, এখন সুখে শান্তিতে যতদিন বাঁচি থাকতে পারবো।”

প্রভাতী ত্রিপুরা বলেন, “আগে তো ভাঙা ঘরে থাকতাম, এখন ঘর পেয়ে খুব ভালো লাগতেছে।”

সেনাবাহিনীর এই মহৎ উদ্যোগ সমাজে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দেবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। বলেন “সাংবাদিকরা বিষয়টি তুলে না ধরলে হয়তো এভাবে দ্রুত সমাধান হতো না।

“বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তার স্ত্রী প্রভাতী বালা ত্রিপুরার মতো হাজারো বৃদ্ধাদের মুখে হাসি ফুটুক এমনী প্রত্যাশা সকলের।

আরও পড়ুন