স্বঘোষিত ছুটি কাটানো সেই শিক্ষক : ঘটনা ধামাচাপা দিতে দিচ্ছেন ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট !

NewsDetails_01

রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: শলিম উল্ল্যাহ
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: সলিম উল্ল্যাহ গত ২রা এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ দিন স্বঘোষিত ছুটির কাটিয়ে প্রধান শিক্ষককে মিথ্যা ও ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে নিজের অনুপস্থিতির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত শরীর চর্চা বিষয়ের সহকারি শিক্ষক মো: সলিম উল্ল্যাহ গেল ২রা এপ্রিল বিনা অনুমতিতে দেশের বাড়ি নোয়াখালী বেগম গঞ্জের গিয়ে ছুটি কাটান তিনি। শুধু তাই নয়, পূর্বে ও তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে অর্থ কেলেঙ্কারি,দুর্নীতি ও ব্যাপক অনিয়ম সহ প্রতিনিয়ত কর্তব্যের পালনে অবহেলার করে আসেছে। সহকারি শিক্ষক সলিম উল্ল্যাহ ছুটি ব্যতীত বাড়িতে গেছেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কর্মস্থলে ফিরেননি। তিনি দীর্ঘ দিনের কর্তব্যে অবহেলার করে বাড়িতে অবস্থান করেছে। এমন অভিযোগ ও সংবাদ পেয়ে প্রতিবেদক ওই স্কুলে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় অভিযোগটি সত্যতা প্রমাণ মিলে। এরপর সহকারি শিক্ষক অনুপস্থিতির বিষয় নিয়ে গত ২৭ এপ্রিলের পাহাড়বার্তা’য় সংবাদ পরিবেশন হলে বান্দরবানে সমালোচনার ঝড় উঠে।
আরো জানা গেছে, প্রকাশিত সংবাদের সংবাদটি পেয়ে গত ২৮ এপ্রিল তিনি স্বকর্মস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে ছুটি নিতে চেষ্টা করেন শিক্ষক সলিম উল্ল্যাহ। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মো: আবদুস সবুর শিক্ষক সলিম উল্ল্যাহ’র ছুটি মঞ্জুর করা অস্বীকৃতি জানান।
এর সাথে সাথে একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় সলিম উল্ল্যাহ এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে দেন। এরপর ও শিক্ষক সলিম উল্ল্যা ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুপস্থিতির দিনগুলোকে ছুটি হিসাবে মঞ্জুর করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এই ব্যাপারে স্কুলটির প্রধান মো: আবদুস সবুর বলেন, শিক্ষক মো: সলিম উল্ল্যাহকে প্রাথমিক ভাবে তার বেতন-ভাতাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মচারী আইন লঙ্ঘন করে অপরাধ করেছেন তিনি। সরকারি কর্মচারীর ছুটি নিয়ে কর্মস্থলে ত্যাগের অনুমতি নিতে হবে। তা যদি না হয়, সরকার থেকে তিনি কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন না। আর প্রায় ২৫ দিন অনুপস্থিত থাকায় তার বেতন-ভাতাদি বন্ধ করতে হিসাব রক্ষণ অফিসের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নোটিশের পর হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্তৃপক্ষ বেতন বন্ধ করে রাখে এই শিক্ষকের। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃক পক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, শিক্ষক সলিম উল্ল্যাহ অসুস্থ হয়নি তা আমি জানি তারপরও তিনি অসুস্থ হিসেবে মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে ছুটি নিতে চেষ্টা করছে। ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট কিনা তা অফিস যাচাই করবে না। নিয়মানুযায়ী আমি ফরওয়াডিং করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সঞ্জীব কুমার বালা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন