খাগড়াছড়ি জেলা শহর হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল কাঠামো পঞ্চাশ শয্যারই রয়ে গেছে। তার ওপর বছরজুড়ে লেগে থাকা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ সংকটে প্রায়শ: মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা চিকিৎসকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। জেলার নয়টি উপজেলা ছাড়াও রাঙামাটি জেলার বৃহত্তম বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার প্রায় শতভাগ রোগীই এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নেন। ফলে রোগী চাপ বারো মাসই লেগে থাকে খাগড়াছড়ি জেলাশহর হাসপাতালে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি, যন্ত্রপাতি, যানবাহন, ঔষধ সরবরাহসহ অন্যান্য সমস্যা সামাধানে একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
গেলো বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু পরিষদে হস্তান্তরিত প্রতিটি বিভাগের প্রধানদের সাথে পৃথক পৃথক সভা করেন।
এসব সভায় উঠে আসা সমস্যাগুলোর সমাধানে তিনি পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের মাধ্যমে অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খাতওয়ারী ‘খসড়া প্রকল্প পরিকল্পনা (ডিপিপি)’ তৈরির উদ্যোগ নেন।
বিশেষ করে ‘কোভিড-১৯’ সময়কালে জেলাশহর হাসপাতাল এবং ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা নিতে আসা রোগী এবং অপক্ষেমান স্বজনদের বসার জন্য আসবাবপত্র ও অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ শুরু করেছেন।
তারই অংশ হিশেবে মঙ্গলবার পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ৫০টি প্লাস্টিক চেয়ার প্রদান করেছেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুপ্রু চৌধুরী অপু।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকও স্বাস্থ্য সেবাকর্মীরা বদ্ধপরিকর।
আসবাবপত্র প্রদানকালে সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ, জেলা পরিষদের সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের আহবায়ক এমএ জব্বার, জেলা পরিষদ সদস্য যথাক্রমে রে¤্রাচই চৌধুরী, মেমং মারমা, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল ও হিরণ জয় ত্রিপুরা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মিটন চাকমা এবং পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনুতোষ চাকমা।