স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানকে বহিস্কারের সুপারিশ পত্র যাচ্ছে কেন্দ্রে
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসএম মিজান সর্দারকে ইয়াবাসহ মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকায় আটক করায়, সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিতে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ থেকে জরুরী পত্র পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রিয় সেচ্ছাসেবক লীগের কাছে। আর এই পত্র পাওয়ার পর কেন্দ্রিয় সেচ্ছাসেবক লীগ তাকে বহিস্কার করবে।
এই ব্যাপারে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী পাহাড়বার্তাকে বলেন, বহিষ্কারাদেশের অনুরোধসহ অব্যাহতি পত্র তৈরি করা হয়েছে, কেন্দ্রিয় কমিঠির কাছে কাল শুক্রবার পাঠানো হবে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুসারে তাকে বহিস্কার করা হবে। তিনি আরো বলেন, কোন অপরাধীর স্থান সেচ্ছাসেবক লীগে হবেনা।
লৌহজং থানা সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানাধীন মাওয়া চৌরাস্তায় ইয়াবা পাচার করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব চৌরাস্তায় অভিযান চালিয়ে মিজান সর্দারকে ৬৮০ টি ইয়াবাসহ আটক করে। পরে লৌহজং থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। সে দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা এনে মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় পাচার করছিল। এস.এম মিজান সর্দার আলীকদম উপজেলা আলিমুদ্দিন পাড়ার বাসিন্দা মৃত মহসিন সর্দারের দ্বিতীয় পুত্র।
এস.এম মিজান সর্দারকে ইয়াবাসহ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমঙ্গীর হোসাইন ফোনে পাহাড়বার্তা’কে জানান, অ্যাম্বুলেন্সে করে ইয়াবা পাচারকালে র্যাব তাকে আটক করেছে,তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
গত (৮ জুন) নিজের দোকান থেকে ইয়াবাসহ আটক করা হয় আলীকদম উপজেলা শ্রমিক লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছৈয়দ হোসেনকে। পার্বত্য জেলার অন্যতম অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাহাড়বার্তা‘য় এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে তাকে শ্রমিক লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়।
প্রসঙ্গত, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করায় এই ধরণের অপরাধের সাথে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারের খড়ক জুঁটতে পারে বলে জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র পাহাড়বার্তাকে জানান।