সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার

NewsDetails_01

আলীকদম বাস স্টেশন
বান্দরবানের আলীকদম, লামা ও চকরিয়া সড়ক পরিবহনে মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকে শুরু হওয়া গত শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতী প্রত্যাহার করেছে আলীকদম, লামা ও চকরিয়া পরিবহন মালিক ও পরিবহন শ্রমিক সমিতি। এর আগে আলীকদম,লামা,চকরিয়া থেকে সকাল ও বিকেলে দুইটি করে মোট চারটি চট্টগ্রামগ্রামী বিআরটিসি স্পেশাল সার্ভিস শুক্রবার চালু হবে এমন খবরে আলীকদম,লামা,চকরিয়া সড়ক পরিবহন বাস,জীপ মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির ডাকে কর্মবিরতী পালন করে।
উপজেলা পরিষদ ও পরিবহন মালিক সমিতির সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার রাত ১০.৩০ মিনিটে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আলীকদম জোনের সাথে সড়ক পরিবহন বাস,জীপ মালিক ও শ্রমিক সমিতির আলোচনা হয়। আলোচনায় সম্প্রীতির আলীকদমে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে বর্ষবরণ উৎসব উপলক্ষে শনিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে পরিবহন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিন্ধান্ত হয়।
আলীকদম বাস কাউন্টারের সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা সময় আলীকদমের উদ্দেশ্য যাত্রীবাহী বাস ও জীপ চকরিয়া বাস টার্মিনাল ত্যাগ করে এবং সকাল নয়টার সময় বাস ও জীপ আলীকদম বাস টার্মিনালে এসে পৌছায় এরপর থেকে আলীকদম ও চকরিয়া যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত শুক্রবার সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি বিআরটিসি বাস আলীকদম হতে চট্টগ্রাম যাত্রী পরিসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য প্রবেশ করায় কর্ম বিরতির ডাক দেয় এবং আলীকদম বাস টার্মিনাল ত্যাগ করে সকল বাস ও জীপ চকরিয়া বাস টার্মিনাল অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া পরপরই শুক্রবা সকালে সকল বাস ও জীপ আলীকদম বাস টার্মিনাল ছেড়ে চকরিয়া বাস টার্মিনালে চলে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, ফিটনেস বিহীন গাড়ী চলে লামা আলীকদম সড়কে জীবন ঝুঁকি নিয়ে। এক দেড় ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে দুই ঘন্টার মত। এই জিম্মি দশা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
সড়ক পরিবহন বাস,জীপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর আহম্মেদ বলেন, আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আলীকদম জোনের অনুরোধে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা বর্ষবরণের পর প্রশাসন ও জোনের সাথে বসব এবং এরপর আমার সিন্ধান্ত পরবর্তী কর্মসূচীর বিষয়ে বলে জানান।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সবাই পরিবার পরিজনের সাথে সময় কাটাতে আসবে ও যাবে। কোন কারণে সাধারণ মানুষের উৎসবের আমেজ নষ্ট হোক ও ভোগান্তিতে না পড়ুক সেটাই আমাদের চাওয়া। তাই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে এবং উদ্বোধন না হওয়া পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলবেনা এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা করে উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করবেন মর্মে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন